- সারাদেশ
- কবরস্থানের ফটকে তালা, ৯৯৯ ফোন দিয়ে দাফন
কবরস্থানের ফটকে তালা, ৯৯৯ ফোন দিয়ে দাফন

প্রতীকী ছবি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে কবরস্থানে তালা দিয়ে শিশুর মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভেড়ামারা ও চরপাড়া গ্রামের দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, কবরস্থানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ খাঁর নির্দেশে ভেড়ামারা গ্রামের বাসিন্দারা কবরস্থানে তালা দিয়ে শিশুটির মরদেহ দাফনে বাধা দেয়। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি থানায় জানায় এবং জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। শেষে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভেড়ামারা ও চরপাড়া গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি দুই গ্রামের যৌথ এ কবরস্থানের ১০ শতক জমি দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। গত সপ্তাহে ভেড়ামারা গ্রামের বাসিন্দারা কবরস্থানের ফটকে তালা দিয়ে চরপাড়া গ্রামের মানুষের মরদেহ দাফন বন্ধ করে দেয়। গতকাল বিকেলে চরপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের শিশুসন্তান মারা যায়। শিশুটির স্বজনরা ও গ্রামের বাসিন্দারা তার মরদেহ দাফন করতে গেলে ফটকে তালা দেখতে পান। ফটকের সামনে তারা প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিরুপায় হয়ে চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ দাফনে সহায়তা করে। তবে এখনও দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা ও কবরস্থানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সামাদ খাঁ বলেন, কবরস্থান-সংলগ্ন এতিমখানার জমি নিয়ে বিরোধের কারণে চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টির আপাতত সমাধান হয়েছে। জমি নিয়ে সমস্যার সমাধান হলে বিষয়টির স্থায়ী সমাধান হবে।
চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, দুই গ্রামের দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। এই দ্বন্দ্ব নিরসন না হওয়ায় দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি দ্বন্দ্ব নিরসনে সংশ্নিষ্ট সবার সহযোগিতা চান।
পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক বলেন, এতিমখানার জমির বিরোধ নিয়ে ভেড়ামারা গ্রামের উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছেলে কবরস্থানে তালা দিয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছিল। বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন আর সমস্যা হবে না।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার বিষয়টি থানা প্রশাসন জানার পরপরই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কবরস্থানে পরবর্তী সময়ে যেন আর সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন