- সারাদেশ
- তর্কের জেরে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় সুমনকে
তর্কের জেরে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় সুমনকে

এ মামলায় গ্রেপ্তার বাবু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে -সমকাল
বগুড়ায় ২৭ বছরের তরুণ খাইরুল ইসলাম সুমন হত্যায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে বাবু মিয়া নামের ওই ফার্নিচার শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বাবু।
সে জানায়, সুমন শহরের কানছগাড়ী এলাকায় একটি গলির ভেতর প্রস্রাব করলে তা টের পায় বাবু ও তার এক বন্ধু। তখন তারা সুমনকে নিষেধ করে। কিন্তু তা না শোনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সুমনকে ছুরিকাঘাতে খুন করে তারা। সোমবার পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাবু গাবতলী উপজেলার সোনারায় এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও বনানী ফাঁড়ি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে কাহালু উপজেলার মুরইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। বাবু শহরের কানছগাড়ীতে একজন ঠিকাদারের বাসায় ভাড়া থাকে।
নিহত সুমন বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। তার বাবা রংপুর পুলিশ অফিসে প্রধান সহকারী হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে সুমন তার বন্ধুদের নিয়ে কানছগাড়ী এলাকার একটি ফার্মেসির সামনে নিজের প্রাইভেটকারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে পাশের ইবনে সিনা হাসপাতালের গ্যারেজের গলির ভেতর প্রস্রাব করতে যান। তখন বাবু ও তার বন্ধুরা সেখানে প্রস্রাব করতে নিষেধ করে সুমনকে। কিন্তু সুমন তা না শোনায় তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে সুমন ফের গাড়িতে গিয়ে আড্ডায় মাতেন। মিনিট ১৫ পর বাবু তার সহযোগীদের নিয়ে সুমনের গাড়ির গ্লাস ভেঙে তার ওপর হামলা চালায় ও ছুরিকাঘাত করে। নিজেকে বাঁচাতে সুমন দৌড়ে পাশের ফার্মেসিতে ঢুকে পড়েন। সেখানে গিয়েও সুমনের হাত-পায়ে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তারা। হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর তার বাবা বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, বাবুর বিরুদ্ধে এর আগে কোনো মামলা না থাকলেও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ কয়েকটি মামলা আছে।
সুমনের বাবা আব্দুল খালেক বলেন, শুধু এ কারণে ছেলেকে খুন করা হয়েছে- বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। তিনি বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন