- সারাদেশ
- পিলারে ফাটল পাননি বিশেষজ্ঞরা!
পিলারে ফাটল পাননি বিশেষজ্ঞরা!

বুধবার চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ফাটল পরীক্ষা করেন বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা সমকাল
চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ফাটল পাননি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, 'খালি চোখে যেটা ফাটল মনে হচ্ছে, সেটি আসলে কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট।' গতকাল বুধবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সোবহান বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
র্যাম্পটিতে হালকা যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'আগেও র্যাম্পটিতে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য আমরা সুপারিশ করিনি। র্যাম্পটি সেভাবে ডিজাইন করা হয়নি। প্রয়োজনে পিলারের ভেতরে কোনো ফাটল হয়েছে কিনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। এরপর হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে সুপারিশ করা হবে।' র্যাম্পটিতে পাঁচ টনের বেশি ওজনের গাড়ি চলাচল করলে ঝুঁকি তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদন পাওয়ার পর র্যাম্পটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান আবদুস সোবহান। তিনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালটেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফ্লাইওভারের র্যাম্পটির নকশাও করে প্রতিষ্ঠানটি। তার সঙ্গে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রকৌশলী শাজাহান আলম ও সিনিয়র স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার সামি মোহাম্মদ রেজা।
ডিপিএম কনসালটেন্টসের পরিচালক প্রকৌশলী শাজাহান আলম বলেন, 'এটি ফাটল নয়। ওপরে উঠে বাইরে থেকে স্ট্ক্র্যাপিং করে দেখেছি, এটা কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট। যেখানে পিলার ঢালাইয়ের সময় সার্টার থেকে ছিদ্র দিয়ে যেন পানি বের না হয় সেজন্য ফোম ব্যবহার করা হয়েছে। সেটিই দূর থেকে দেখে ফাটল মনে হচ্ছে। এটি সাড়ে তিন বছর আগে যখন নির্মাণ করা হয়েছিল তখনও ছিল। হয়তো কেউ খেয়াল করেনি। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পুরো পিলারটা দেখেছি কোথাও কোনো ফাটল নেই। এখানে নির্মাণ ত্রুটিরও কিছু নেই।'
তিনি বলেন, র্যাম্পটি হালকা যান চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ। কিন্তু ভারী যানবাহনও চলছে। এখনও হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের আরাকান সড়কমুখী র্যাম্পের একটি পিলারে 'ফাটলের' ছবি ফেসবুকে ছড়ালে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার রাত থেকে র্যাম্পটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং প্রধান প্রকৌশলীও বলেছেন, নির্মাণ ত্রুটির কারণেই ফাটল ধরেছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন মেয়র। তবে ফ্লাইওভারটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দাবি, এটি ফাটল নয়; পিলারের জোড়া।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, 'বিশেষজ্ঞরা যে মন্তব্য করেছেন সেটিই সঠিক। খালি চোখে দেখে ফাটল মনে হয়েছিল, তাই আমরা তাৎক্ষণিক সেটি বলেছিলাম। র্যাম্পটির মুখে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদন পেলে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য র্যাম্পটি খুলে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
র্যাম্পটিতে হালকা যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'আগেও র্যাম্পটিতে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য আমরা সুপারিশ করিনি। র্যাম্পটি সেভাবে ডিজাইন করা হয়নি। প্রয়োজনে পিলারের ভেতরে কোনো ফাটল হয়েছে কিনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। এরপর হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে সুপারিশ করা হবে।' র্যাম্পটিতে পাঁচ টনের বেশি ওজনের গাড়ি চলাচল করলে ঝুঁকি তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদন পাওয়ার পর র্যাম্পটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান আবদুস সোবহান। তিনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালটেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফ্লাইওভারের র্যাম্পটির নকশাও করে প্রতিষ্ঠানটি। তার সঙ্গে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রকৌশলী শাজাহান আলম ও সিনিয়র স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার সামি মোহাম্মদ রেজা।
ডিপিএম কনসালটেন্টসের পরিচালক প্রকৌশলী শাজাহান আলম বলেন, 'এটি ফাটল নয়। ওপরে উঠে বাইরে থেকে স্ট্ক্র্যাপিং করে দেখেছি, এটা কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট। যেখানে পিলার ঢালাইয়ের সময় সার্টার থেকে ছিদ্র দিয়ে যেন পানি বের না হয় সেজন্য ফোম ব্যবহার করা হয়েছে। সেটিই দূর থেকে দেখে ফাটল মনে হচ্ছে। এটি সাড়ে তিন বছর আগে যখন নির্মাণ করা হয়েছিল তখনও ছিল। হয়তো কেউ খেয়াল করেনি। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পুরো পিলারটা দেখেছি কোথাও কোনো ফাটল নেই। এখানে নির্মাণ ত্রুটিরও কিছু নেই।'
তিনি বলেন, র্যাম্পটি হালকা যান চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ। কিন্তু ভারী যানবাহনও চলছে। এখনও হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের আরাকান সড়কমুখী র্যাম্পের একটি পিলারে 'ফাটলের' ছবি ফেসবুকে ছড়ালে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার রাত থেকে র্যাম্পটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং প্রধান প্রকৌশলীও বলেছেন, নির্মাণ ত্রুটির কারণেই ফাটল ধরেছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন মেয়র। তবে ফ্লাইওভারটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দাবি, এটি ফাটল নয়; পিলারের জোড়া।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, 'বিশেষজ্ঞরা যে মন্তব্য করেছেন সেটিই সঠিক। খালি চোখে দেখে ফাটল মনে হয়েছিল, তাই আমরা তাৎক্ষণিক সেটি বলেছিলাম। র্যাম্পটির মুখে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদন পেলে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য র্যাম্পটি খুলে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
মন্তব্য করুন