জয়পুরহাট সদর উপজেলায় চালক শফিকুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটিও উদ্ধার হয়েছে। 

পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বৃহস্পতিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ অক্টোবর জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ি সড়কের পাইকড়তলী এলাকার একটি ধানক্ষেতে ইজিবাইক চালক শফিকুল ইসলামের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শফিকুল ইসলামের বাবা নিলু ফকির বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।

জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তৎপরতা শুরু করে। প্রথমে এই মামলায় কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়। পরে ক্ষেতলাল উপজেলার তিলাবদুল গ্রামের রশিদুল ও রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রশিদুল পেশায় একজন ট্রাকচালক আর রুবেল ওই ট্রাকটির সহকারী (হেলপার)। 

গত ২৪ অক্টোবর আসামিরা ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারে একত্রিত হয়ে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। তারা ওইদিন জয়পুরহাট শহরের পৃথিবী কমপ্লেক্সের সামনে ইজিবাইক স্ট্যান্ডে আসে। সেখান থেকে দুইশ টাকায় শফিকুল ইসলামের ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে মঙ্গলবাড়িতে রওনা দেয়। মঙ্গলবাড়ি থেকে তারা ইজিবাইকে আলতাদীঘি এলাকায় গিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে। এরপর সেখান থেকে তারা ইজিবাইক নিয়ে জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা হয়। ওইদিন রাত ৯টায় জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ি সড়কের পাইকড়তলী এলাকায় এসে যাত্রীর আসনে থাকা রশিদুল পেছন থেকে চিকন রশি দিয়ে ইজিবাইক চালক শফিকুলের গলায় ফাঁস দেয়। তার সহযোগী রুবেল ইজিবাইক চালককে জাপটে ধরে থাকে।

ইজিবাইকের ভেতরেই রশিদুল চাকু দিয়ে ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তারা শফিকুলের গলাকাটা লাশ পাশের ধানক্ষেতে ফেলে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারা ইজিবাইক নিয়ে ক্ষেতলালের বটতলী বাজারে এসে ব্যাটারি খুলে ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এরপর তারা নিজেদের মধ্য টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। আর ইজিবাইকটি বটতলী বাজারের মতিয়ারের গ্যারেজে রেখে চলে যায়।