সাম্প্রদায়িক সহিসংতার অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড রেখে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের নন্দনকাননে এক সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার সমাবেশ ও পদযাত্রার এই আয়োজন করে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)। সমাবেশে এক মঞ্চে এসে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুপম সেন বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক অপরাধ করবে, ট্রাইব্যুনাল করে তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। আইনের মাধ্যমে এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে মানুষ মনে রাখে। আমরা সাম্প্র্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চাই। যারা হামলার সঙ্গে জড়িত শুধু তাদের নয়, যারা হামলার চক্রান্ত করেছে তাদেরও চাই। সামান্য কথা বললে আইসিটি আইনে যাকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা ব্লাসফেমির মতো কোনো আইন চাই না। আমরা আইসিটি আইনের পরিবর্তন চাই।

সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে সংবিধানকে সাম্প্র্রদায়ীকরণ করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টানে ভাগ করে সাম্প্র্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সারাদেশে যে হামলা হয়েছে এটা শুধু হিন্দু সম্প্র্রদায়ের ওপর আঘাত নয়, এটা আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত, সরকারের ওপর আঘাত।

নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে একজন মুসলমান, খ্রিষ্টানের, বৌদ্ধের যে অধিকার আপনাদেরও একই অধিকার। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সন্ত্রাস চাই না।

ইসকন-বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাশের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক জীনবোধি ভিক্ষু, জাসদ নেতা ইন্দুনন্দন দত্ত, ইসকন-চট্টগ্রামের সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ প্রমুখ।