কুমিল্লায় এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২ ছাত্রসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সমকালকে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ বাগমারা গ্রামে নারী ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার’ হয়েছেন বলে নিজেই অভিযোগ জানান। রোববার দুপুরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী।

পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেনদি গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান নীরব (১৯), একই বর্ষের ছাত্র সদর দক্ষিণ উপজেলার গন্ধমতি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৯), একই গ্রামের সাবাশ মিয়ার ছেলে ফয়সাল হোসেন (২৪) এবং একই উপজেলার উত্তর সালমানপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেনকে (২১) গ্রেপ্তার করে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সমকালকে জানান, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মেহেদী হাসান নীরবের সঙ্গে পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ওই নারী শনিবার বিকালে ময়নামতি জাদুঘর এলাকায় ঘুরতে যান। পরে তাকে দক্ষিণ বাগমারা গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত হয় নীরবের সহপাঠী হৃদয় হোসেন। পরে ওই দুই ছাত্র এবং স্থানীয় ফয়সাল হোসেন ও বিল্লাল হোসেনসহ ৪ জনে ওই নারীকে ‘ধর্ষণ করে’ বলে অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী।

মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেন, ধর্ষণের পর তাকে এ বিষয়টি কাউকে না জানানোর কথা বলে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। 

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আসামিদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।