
সংঘর্ষে পর বন্ধ কলেজের ছাত্রাবাস। ক্যাম্পাসে নেই শিক্ষার্থীরা। এ কারণে সংঘর্ষে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানতে আরও ১০ দিন সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সময় আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। কলেজ বন্ধের কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা না থাকায় ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বক্তব্য নিতে সময় বাড়ানোর আবেদ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। রোববার সময় বাড়ানোর আবেদন করেন তদন্ত কমিটির প্রধান সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো মতিউর রহমান খান। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কমিটি।
এ প্রসঙ্গে চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার সমকালকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ ও ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে ক্যাম্পাসে নেই শিক্ষার্থীরা। যাদের মধ্যে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য কমিটি আমাদের কাছে আরও ১০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মতিউর রহমান খান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে কলেজ ও হোস্টেল বন্ধ থাকায় ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন অনেকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সেজন্য কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আরও ১০ দিন সময় চেয়ে আবেদন জানানো হয়। কর্তৃপক্ষ তা মঞ্জুর করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। আশা করছি আমরা সময়মতো প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যেসংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আঘাত পান কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। হামলায় থেঁতলে দেওয়া হয় আকিবের মাথার হাড়। যে কারণে ওইদিনই অস্ত্রোপচার করতে হয়। আকিবের পুরো মাথায় লাগানো সাদা ব্যান্ডেজে ডাক্তার লিখে দেন ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’ যে লেখাটি নাড়া দিয়েছে অনেকের।
আকিব চমেকের এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন অনেকটা ভালোর দিকে হলেও এখনও তিনি চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার দিন জরুরি মিটিং করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। সংঘর্ষে জড়ানো ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে একটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী এবং অন্যটি সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। গুরুতর আহত আকিব শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী। হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে দুইজনকে।
মন্তব্য করুন