- সারাদেশ
- পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট
পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট

ফাইল ছবি
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ রয়েছে। রোববার চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী কোনো গাড়ি প্রবেশ করেনি। আবার কোনো গাড়ি বেরও হয়নি। বন্দর থেকে কনটেইনার খালাস না হওয়ায় তৈরি হয়েছে জট।
তিন দিনের পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৮ হাজার ৭৮৩টি কনটেইনারের (টিইইউস) স্তূপ জমেছে, যা বন্দরের ধারণ ক্ষমতার ৭৯ শতাংশ। ফলে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ১৯টি আমদানি ও রপ্তানি পণ্যবাহী প্রায় ১৮ হাজার কনটেইনার জমে আছে।
বন্দর সূত্র জানায়, কনটেইনার ওঠানো-নামানোর যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ধরন ভেদে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় ৪৯ হাজার ১৮ একক কনটেইনার রাখা সম্ভব। গত ২৪ ঘণ্টায় আটকা পড়েছে এক হাজার ৮৪১ একক কনটেইনার। ফলে কন্টেইনারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৭৮৩ একক। পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে কনটেইনারের অস্বাভাবিক জট তৈরি হবে। বন্ধ রাখতে হবে কনটেইনার খালাস কার্যক্রম।
জানা গেছে, বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে কনটেইনার ধারণক্ষমতার ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হয়। ইতোমধ্যে ৭৯ শতাংশ জায়গা পূর্ণ হয়ে গেছে। খালি আছে মাত্র ২১ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ধর্মঘটের কারণে তৃতীয় দিনের মতো পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কনটেইনার জমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আসাসহ মোট ৩৮ হাজার ৭৮৩টি কন্টেইনার (টিইইউস) জমে আছে। এক দিনের ব্যবধানেই প্রায় এক হাজার ৮৪১টি কনটেইনার জমে গেছে।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে পরিবহনের অভাবে বন্দর থেকে পণ্য বের হতে ও ঢুকতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বন্দরে এভাবে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমীন সিকদার বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পণ্যবাহী কনটেইনার তিন দিন ধরে ডিপোগুলো থেকে আনা-নেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কনটেইনার আনা-নেওয়া হয়।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি মাদার ভ্যাসেল অবস্থান করছে। বার্থিংয়ে আছে ১৪টি। এর মধ্যে কনটেইনারবাহী ৮টির পাশাপাশি ১২টি জেনারেল কার্গো রয়েছে। খাদ্যপণ্য বোঝাই মাদার ভ্যাসেল আছে ১০টি। এ ছাড়া সার বোঝাই আছে ৪টি, চিনি বোঝাই আছে ৩টি। সিমেন্টের ক্লিংকার বোঝাই আছে ২১টি এবং তেলবাহী মাদার ভ্যাসেল আছে ৮টি।
ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন বাস মালিকরা। তবে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিকরা।
মন্তব্য করুন