- সারাদেশ
- কুমিল্লা কারাগারের তিন কর্মকর্তার নামে মামলা
চিকিৎসায় অবহেলায় হাজতির মৃত্যুর অভিযোগ
কুমিল্লা কারাগারের তিন কর্মকর্তার নামে মামলা

চিকিৎসায় অবহেলায় এক হাজতির মৃত্যুর অভিযোগে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১ নম্বর আমলি আদালতে ১ নভেম্বর মামলাটি করেন মারা যাওয়া হাজতি মো. আলমগীর হোসেনের স্ত্রী নাছিমা বেগম। মামলায় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ, জেলার মো. আসাদুর রহমান, ডেপুটি জেলার (হাজতি ভর্তি শাখা) মো. আরিফুল ইসলাম এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ঝাঁকুনিপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন ৩১ মে কারাগারে মারা যান। তবে কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই হাজতির চিকিৎসায় কোনো অবহেলা করা হয়নি।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। ১ নভেম্বর এ মামলা করা হলেও গতকাল বুধবার পর্যন্ত আদালতের আদেশ থানায় পৌঁছেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। মামলার অভিযোগটি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি চান্দিনা থানা পুলিশ মাদকসহ আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠায়। তার বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে ১ মে কারা চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য ৯ মে রেফার করে। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ আলমগীরকে ঢাকায় নেওয়ার অনুমতি নেই বলে কারাগারে ফেরত নেয়। এ অবস্থায় ৩১ মে তিনি কারাগারে মারা যান।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ বলেন, ওই বন্দিকে যখন কারাগারে আনা হয়, তখন তার শারীরিক নানা সমস্যা ছিল। কারাগারের চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার বুকে ব্যথা হওয়ায় এনজিওগ্রাম করতে বলা হয়েছিল। কুমিল্লায় এনজিওগ্রাম ও হৃদরোগের ভালো চিকিৎসা হয় না, তাই আমরা এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে ঢাকায় নিতে আইজি (প্রিজন) অফিসে আবেদন করি। কিন্তু অনুমোদনপত্র পাওয়ার পাঁচ দিন আগেই ওই হাজতি মারা যান।
বুধবার বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, আদালতের আদেশ হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন