গত ২১ অক্টোবর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে এক দিনের বন্যায় রংপুর অঞ্চলে ১০ কোটি টাকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারত আকস্মিকভাবে পানি ছেড়ে দেওয়ায় বন্যা প্রতিরোধে প্রস্তুতি না থাকায় এ ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বুধবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২১ অক্টোবর তিস্তা নদীতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী ভারতের পক্ষ থেকে ১৫ অক্টোবরের পরে গজলডোবা বাঁধ থেকে পানি ছাড়া হয় না। কারণ, তখন নদীতে পানি থাকে না। কিন্তু ভারতে আকস্মিক বন্যা হওয়ায় উজানের ঢলের বিষয়ে আগাম কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফ্লাড বাইপাস বাঁধসহ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি টাকা।

এ ছাড়া ওই বন্যায় রংপুর বিভাগের তিন জেলায় পাঁচ কোটি টাকার ৪০৩ মেট্রিক টন পুকুরের মাছ ও ৩৭ লাখের বেশি মাছের পোনা ভেসে গেছে। এ ছাড়া আট হাজার হেক্টরের বেশি জমির ধানসহ অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎপরতায় ক্ষয়ক্ষতি কিছু কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।