দীর্ঘ সাড়ে ৭ মাস পরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ৩১০ পর্যটক নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রা শুরু করেছে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন।

টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট দিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে পর্যটকবাহী জাহাজটি ছাড়ে। বেলা ১২টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এর আগে সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকার পর এই মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে পর্যটকবাহী এই জাহাজটি চলাচলের অনুমোদন দেয় প্রশাসন। যদিও ঘুণির্ঝড়ের আঘাতে দ্বীপে জেটি লণ্ডভণ্ড হওয়ায় কিছুটা সময় লাগে অনুমতি পেতে জাহাজ কর্তৃপক্ষের।

বিষয়টি স্বীকার টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, পর্যটক মৌসুমের শুরুতে মঙ্গলবার সকালে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন পর্যটকবাহী জাহাজে করে ৩১০ ভ্রমণকারী সেন্টমার্টিন দ্বীপে রওনা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজটি চলাচল শুরু করেছে। পর্যটকদের উঠা-নামার সমস্যা যেন না হয় সেজন্য দ্বীপে সংস্কার জেটিতে সেভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এ রুটে আরও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে। বিশেষ করে দ্বীপের পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে নজর রাখা হচ্ছে।

সরেজিমনে দেখা যায়, টেকনাফ দমদমিয়া কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন পর্যটকবাহী জাহাজের জেটি ঘাটে টিকেটের জন্য ভিড় করেন ভ্রমণে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। এসব পর্যটকদের মধ্য অনেকে আসার পথে সড়কের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া শতাধিক পর্যটক টিকেট না পাওয়ায় দ্বীপে ভ্রমণে যেতে পারেননি। 

জাহাজে বসে পর্যটকরা গানে গানে আনন্দ উল্লাসে যাত্রা শুরু করেন। ঢাকা থেকে শিক্ষার্থী প্রীতম এসেছেন  সেন্টমার্টিন ভ্রমণে। জাহাজে তিনি জানান, করোনার কারণে তিন বছর পর প্রথমবারের মতো প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘুরতে এসেছি, খুব আনন্দ লাগছে। দুই গ্রুপের আমাদের দলে ৬৫ জন সদস্য রয়েছেন। দ্বীপে আমরা চারদিনের ভ্রমণে নীল দিগন্তে উঠবো। কিন্তু আসার পথে টেকনাফের অনেকটা সড়কের খুবই খারাপ অবস্থা ছিল।

পর্যটকবাহী কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পাওয়ায় এবারে প্রথমদিনে ৩১০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাত্রা করছি। সব ঠিকঠাক থাকলে বেলা ১২টার দিকে দ্বীপে পৌঁছে যাবে জাহাজটি। আশা করছি অন্য বছরের তুলনায় এ বছরে আরও বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে আসবেন।

এদিকে সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ মার্চ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করেছিল।