হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে যে কয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন, তাদের সবাই লন্ডনপ্রবাসী। ইউনিয়নটিতে সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। চেয়ারম্যান হতে এখন লড়াই করছেন ছয় প্রার্থী, যাদের সবাই লন্ডনপ্রবাসী।

এ জন্য উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে কুর্শিতে আলাদা দৃষ্টি সবার। এছাড়া আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ইউনিয়নের নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হতে পারে। এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।

এরমধ্যে ইউনিয়নটিতে যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন, তিনি বর্তমানে লন্ডনেই অবস্থান করছেন। মনোনয়নপত্র দাখিল করেই ব্যক্তিগত কাজে লন্ডন চলে যান। বর্তমান চেয়ারম্যানও তিনি। নাম আলী আহমদ মুসা।

গত ২ নভেম্বর শেষ দিন পর্যন্ত ইউনিয়নটিতে মোট সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। বাছাইয়ের সময় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।

ইউনিয়নটির ছয় প্রার্থী হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ মুসা, তারই স্ত্রীর বড় ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মুকিত, আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী লন্ডনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তালিম নিজাম চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ফারছুর ছোটভাই যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা মো. শামসুল হুদা চৌধুরী বাচ্চু, যুক্তরাজ্যের আরেক কমিউনিটি নেতা মো. আব্দুল গফুর ও সাবেক চেয়ারম্যান ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ।

ছয় প্রার্থীই লন্ডনপ্রবাসী; এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করায় এ নিয়ে এলাকায় নানা সমালোচনা হচ্ছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

মুসা বর্তমান সময় নিয়ে মোট তিন বার এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল না। পারিবারিকভাবে কথা ছিল তার স্ত্রীর বড় ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মুকিত প্রার্থী হবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত মুসা নৌকার মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হয়ে যান। পরে বিদ্রোহী প্রার্থী হন আব্দুল মুকিত। এ নিয়ে ইউনিয়নটিতে আওয়ামী লীগের দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সবমিলে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি নেতা খালেদুর রহমান খালেদ।

আগামী ২৮ নভেম্বর নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।