রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) সহ-সভাপতি লিলি বেগম ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নিখোঁজের স্বজনরা নানা শঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

লিলি বেগম নিখোঁজের ঘটনায় তার ভাগিনা শফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।  মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের কাছে আবেদন করেছে। 

মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান মঞ্জু সমকালকে জানান, তাদের সংগঠনটি ১৯৯৯ সাল থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী ও এর আশপাশের এলাকার নারী এবং কন্যা শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে। লিলি বেগম সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি। 

লিলি বেগমের বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন। 

শফি ইসলাম সমকালকে জানান, এ পরিস্থিতিতে গত ১০ নভেম্বর দুপুরে পাশ্ববর্তী আব্দুল লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তারা চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি লিলি বেগমের সন্ধান দেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।

শফি বলেন, ‘লতিফ নামের ওই ব্যক্তিকে খালা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু খালু সাহেবের পরিবার তা মেনে নেয়নি। দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর মধ্যে খালার একটি বাড়ি আছে। খালার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হয় প্রতিদিন। গত ১০ নভেম্বর খালার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাই। ১১ তারিখ আমি দৌলতদিয়া এসে খালার খোঁজ করি। খালার বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান,খালা লতিফ খালুর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখোঁজি করে তাকে না পেয়ে পরে থানায় জিডি করেছি।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, নিখোঁজ লিলি বেগমের সন্ধানে ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করাসহ বিভিন্ন টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘটনায় যাদের নাম আসছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া বিভিন্ন থানায় ইতোমধ্যে নিখোঁজের ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে।