- সারাদেশ
- 'নিয়োগ বাণিজ্য উৎসবের' তদন্তে নেমেছে ইউজিসি
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
'নিয়োগ বাণিজ্য উৎসবের' তদন্তে নেমেছে ইউজিসি

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ 'নিয়োগ বাণিজ্য উৎসবের' তদন্তে এবার মাঠে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। মঙ্গলবার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি সরেজমিন এই তদন্ত শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে ড. বিশ্বজিৎ চন্দ কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সমকালকে বলেন, এই পর্যায়ে তদন্তের ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
গত ২৪ অক্টোবর সমকালের শেষ পৃষ্ঠায় 'সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় :শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর আগে নিয়োগ বাণিজ্যের উৎসব' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গত ১ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি সরেজমিন তদন্তের অংশ হিসেবে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে। এর পরপরই ইউজিসির তদন্ত কমিটি সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়েছে।
২০১৮ সালে দেশের চতুর্থ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিলেটে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার এই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে। একই বছরের ১৪ নভেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) নঈমুল হক চৌধুরী। জামায়াতপন্থি নঈমুল ২০১৮ সালে শাবিতে ডানপন্থি কর্মকর্তা পরিষদের হয়ে নির্বাচন করেছেন।
বর্তমানে নগরীর চৌহাট্টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে পাঠদানসহ স্বাভাবিক কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। তারপরও ভিসি ডা. মোর্শেদ আহমদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হকের যোগসাজশে আর্থিক সুবিধা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন পদে এডহক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান ও কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ।
মন্তব্য করুন