জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর তথ্য পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার রাত ১১ টায় চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সমকালকে জানান পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার।

তারা হলেন, পৌরসভা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জমির উদ্দিন (৪৭), হাইদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (৩৮)।তারা দুজনই এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদেরকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে এই মামলায় মেহেবুবুর রহমান ও আবদুল দয়ান নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত ৭ নভেম্বর সোমবার তাদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন হুইপের একান্ত সহকারী হাবীবুল হক চৌধুরী। 

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘হুইপের সম্মানহানি করার জন্য টাকার বিনিময়ে ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের কাছে হুইপের তথ্য সরবরাহ করত জমির উদ্দিন ও সাইফুল। চক্রের মূল হোতাসহ যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।’

গত ৬ নভেম্বর (রোববার) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের বাড়িতে দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এক যুবকের গতিবিধি রহস্যজনক মনে হলে তার শরীর তল্লাশি করেন। তখন তার প্যান্টের পকেট থেকে দুটি রেকর্ডার পাওয়া যায়। 

পরে আটক যুবক মেহেবুবুর তখন স্বীকার করেন, ৬৩ হাজার টাকার বিনিময়ে হুইপের সম্মানহানির জন্য তার ছোট ভাই দয়ানকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো দিয়ে হুইপের বাড়িতে পাঠিয়েছেন।