গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের পর বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের প্যানের মেয়র গঠন করা হয়েছে। কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণকে এক নম্বরে রেখে কাউন্সিলর আব্দুল আলিম ও আয়েশা আক্তারকে নিয়ে প্যানেল মেয়র গঠনের সিদ্ধান্ত আসে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গীতে শুরু হয় আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ। টঙ্গীতে কিরণের বাসভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকঢোল পিটিয়ে নেচে-গেয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন তার সমর্থকরা।

অন্যদিকে হারিক্যান ছয়দানা এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের যে ভিড় থাকত, সেই বাড়ি দেখা গেছে ফাঁকা। সুনসান বাড়িতে নেই আগের মতো ব্যস্ততা।

কাউন্সিলর কিরণ সিটি করপোরেশনের আগের মেয়াদেও আড়াই বছরের মতো ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৩ সালে বিএনপি দলীয় মেয়র এম এ মান্নান ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তখনও দায়িত্বভার এসে পড়ে কিরণের হাতে।

এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, নগর পরিচালনায় অভিজ্ঞ আসাদুর রহমান কিরণকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র নির্বাচিত করায় গাজীপুরবাসী আনন্দিত। এর আগেও তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন, তাই তিনি জানেন কীভাবে নগর পরিচালনা করতে হয়।

আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছি। গত মেয়াদে প্রায় ২৭ মাস ১৩ দিন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গাজীপুর সিটির যে বেহাল দশা রয়েছে, দলীয় নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনা করে তার সমাধান করব।’ রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য যারা জমি দিয়েছেন, অথচ ক্ষতিপূরণ পাননি- তাদের বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।