- সারাদেশ
- আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে বন্দরে চিঠি
কুমিল্লায় সহযোগীসহ কাউন্সিলর খুন
আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে বন্দরে চিঠি

সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে হত্যা মামলার আসামিরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সেজন্য বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য সংস্থা তদন্ত অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম পাঁচদিনেও গ্রেপ্তার হননি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম বলেন, তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ আরও অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। অনুসন্ধানকালে স্থানীয়রা ধারণা করেছেন, শাহ আলম তার কয়েক অনুসারীকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন বলেন, ঘাতকদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং সন্দেহভাজনদের মোবাইল কল লিস্ট ও কথোপকথন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়েই ঘাতকদের গ্রেপ্তার করা হবে। এ জন্য র্যাবের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক কাইছার হামিদ জানান, গ্রেপ্তার আসামি মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আরেক আসামি সুমন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, এ মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক টিম মাঠে অভিযানে রয়েছে। এরমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কাউন্সিলর সোহেলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া যুবসমাজ শুক্রবার ওই এলাকায় মানববন্ধন করেছে।
গত ২২ নভেম্বর সোমবার বিকেলে সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন