টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকাল গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধসহ আরও চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তোতা শেখ (৪০) উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকাল গ্রামের আক্কেল মেম্বারের ছেলে। গুলিবিদ্ধসহ দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন গুলিবিদ্ধের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। 

নিহতের ভাই রফিক শেখ বলেন, 'আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক। এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলাম। হঠাৎই আমাদের গ্রামের দপ্তিয়র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দীন আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কাজ না করার অভিযোগ আনে।বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার বিকালে আমাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যায় সাইফুদ্দীন, সুমন, খাজা ও জাহাঙ্গীরসহ দলবল অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা করে। অতর্কিত হামলায় আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। এসময় আমার পায়ে গুলি লাগে ও মিনহাজ মন্ডলের ছেলে বাচ্চু মন্ডল, সুমন, কবীর ও আমার ভাই তোতা শেখ গুরুতর আহত হয়। পরে লোকজন আমাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমার ভাই তোতা শেখ মৃত্যুবরণ করেন।'

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও সেখানে গিয়েছি। শুনেছি তোতা শেখ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে মারা গেছে ময়নাতদন্ত হলে জানা যাবে।' 

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন জানান, হাসপাতালে পৌছার আগেই তোতা মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।