
মৃধা. মু. আক্তার উজ জামান। ছবি: সংগৃহীত
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ইউপি নির্বাচনে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃধা. মু. আক্তার উজ জামান বলেছেন, ‘গত নির্বাচনে ওসি মাহবুব আমার ভোট কেটেছে। আমি মুজিব কোট খুইল্লা ওসিকে কয়েকটা কেনু দিছিলাম। এবার আর সেই সুযোগ নাই। এবার ওসি-ইউএনও ভালো লোক, প্রশাসন আমার পক্ষে। গতবার আমি অসহায় ছিলাম, এবার আমি অসহায় নই।’
বুধবার রাতে ইউনিয়নের রাজগুরু গ্রামে মৃধা. মু. আক্তার উজ জামান ওরফে মিলন মৃধা তার একটি উঠান বৈঠকে এমন বক্তব্য দেন। ওই বক্তৃতার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্তার উজ জামান বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
‘বাবুগঞ্জ দর্পণ’ নামের একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশ হওয়া ৪১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিচ্ছেন আক্তার উজ জামান। তিনি বলেন, ‘আমি উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা আতাহার আলী মৃধার ছেলেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করে বিনা টাকায় চাকরি দিয়েছি।’
ভিডিওতে আক্তার উজ জামান আরও বলেন, ‘বাবুগঞ্জের সাবেক ওসি মাহাবুব গৌরনদীর জামাই ছিল। সে গত নির্বাচনে সরোয়ার মাহমুদের (বর্তমান চেয়ারম্যান) পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সেন্টারে আমার ভোট কেটেছে। সেন্টারে সেন্টারে গুলি করেছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওসি মাহাবুবের চেম্বারে গিয়ে তাকে চার-পাঁচটি কেনু দিছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার উজ জামান বলেন, ‘বক্তব্যে আমি পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি যেভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম, হতে পারে সেভাবে বুঝাতে পারিনি। আমি বলতে চেয়েছি, আমি ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাবস্থায় যারা আমার কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়েছে, তাদের কারোর কাছ থেকে আমি একটা টাকাও নিইনি।’
আক্তার উজ জামান বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়। তবে নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব নিয়ে আমার লোকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল।’
ওসিকে মারধরের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, বক্তব্যে মানুষ অনেক কথাই বলে। বক্তব্য আর বাস্তবতা এক নয়। ভোট পাওয়ার জন্য এটুকু বলতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন