শীতের আগমনে জমে উঠেছে আদমদীঘির সাওইল বাজারের প্রসিদ্ধ চাদর ও কম্বলের বাজার। স্থানীয় তাঁতিপল্লীগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা। প্রতি বুধ ও রোববার বসছে শীতবস্ত্রের হাট। তবে সুতার দাম ও শ্রমিক মজুরি বেশি হওয়ায় চাদর ও কম্বলের দামও এবার বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশের তাঁত শিল্পের অন্যতম ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত এই বাজার। সাওইল বাজার থেকে তাঁতিপল্লী এখন ছড়িয়ে পড়েছে কেশরতা, বিনাহালী, মঙ্গলপুর, মুরইল, দেলুঞ্জ, ছাতনী-ঢেকড়াসহ প্রায় ৭৫টি গ্রামে। যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে তাঁতিরা এখন মাকু ছানার হাত ও পা চালিত তাঁত মেশিনের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন বৈদ্যুতিক তাঁত।

সাওইল বাজারের এসব শীতবস্ত্র খুব আকর্ষণীয় ও অল্পমূল্যের হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিপর্যায়ে সারাদেশে দুস্থদের মাঝে যে কম্বল-চাদরসহ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়, সেসব শীতবস্ত্রে অধিকাংশই এখান থেকেই ক্রয় করা হয়ে থাকে।

সাওইল বাজারের কম্বল ও সুতা ব্যবসায়ী মাহফিজুর রহমান, শরিফ উদ্দিন ও বাচ্চু মিয়াসহ অনেকেই জানান, শীতের আগমনে চাদর ও কম্বলের বাজার জমজমাট হলেও বর্তমানে সুতা, রং ও শ্রমিক মজুরি বেশি হওয়ায় চাদর ও কম্বলের দাম আগের চেয়ে বেশি।