বরগুনার পাথরঘাটায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাসার। তবে এসব ঘটনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি। আহতরা হলেন, হাবিবুর রহমান, রহিমা বেগম, মুক্তা আক্তার, হোসনেয়ারা, জলিল, মোতালেব, সবুজ, নাসিরের ও কাইয়ুমসহ আরও ২ জন।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আহত হাবিবুর রহমান বলেন, ‌‘নির্বচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আমার ওয়ার্ডে তালা মার্কার প্রার্থী আলামীন হাওলাদার বিজয়ী হন। আমরা নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করায় রাতে বিজয় মিছিল দিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার বসত বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ঘর ভাঙচুর করেছে। এসময় আমরা বাধা দতে গেলে আমার বাড়ির সবাইকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে আমরা ৭ জন আহত হয়েছি।’ এ ছাড়া পাথঘাটা নাচনাপাড়া, চরদুয়ানী, রায়হানপুর এলাকায় প্রার্থীদের সমর্থকদের মারামারিতে আরও চার জন আহত হয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল মো. তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, নির্বাচন পরবর্তী কিছু ঘটনা ঘটে। তবে সেই ধরনের বড় কোনো ঘটনা পাথরঘাটায় ঘটেনি। উপজেলার চারটি নির্বাচনী এলাকায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সারাদেশে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সবকটিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয় অর্জন করেন।