মোনাজাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানা মসজিদের ইমাম মাওলানা শহীদুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে। 

গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মোনাজাতে তিনি খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করেন। শনিবার তাকে ডেকে কয়েক দিন মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন মসজিদ কমিটির পদাধিকারবলে সভাপতি বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন।

ইমাম মাওলানা শহীদুল ইসলাম বলেন, তিনি ৭ বছর ধরে থানা মসজিদে ইমামতি করছেন। গত শুক্রবার এক মুসল্লি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে দোয়া করতে বলেন। তিনি মোনাজাতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি চেয়েছেন। পরদিন শনিবার ওসি আলাউদ্দিন মিলন তাকে ডেকে বলেন, আপনি কয়েক দিন মসজিদে আসবেন না। তবে কত দিন আসব না, সে কথা জানাননি ওসি। এরপর থেকে মুয়াজ্জিন নুর মোহাম্মদ ৫ ওয়াক্ত নামাজে ইমামতি করছেন। কমিটির আরও কয়েকজন সদস্য একই কথা জানালেও তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।

ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, মসজিদের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় নিয়ে ইমাম মাওলানা শহীদুল ইসলামসহ কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে রোববার তিনি কথা বলেছেন। তাবলীগ জামাতে আসা দু'পক্ষ পৃথক সময়ে বয়ান করার পরিবর্তে একই সময়ে বয়ান করতে বলেছেন বলে জানান ওসি। এর বেশিকিছু হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। ইমাম শহীদুল ইসলাম নামাজে কেন ইমামতি করছেন না- জানতে চাইলে ওসি আলাউদ্দিন বলেন, তিনি শুধু জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ইমাম নিযুক্ত হয়েছেন। ওয়াক্তের নামাজ পড়ান মুয়াজ্জিন নুর মোহাম্মদ। তবে একাধিক মুসল্লির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমাম মাওলানা শহীদুল ইসলাম প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ইমামতি করতেন। দু'দিন ধরে তিনি নামাজ পড়াচ্ছেন না।

বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সেলিম বলেন, পাশের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থানা মসজিদে তিনি বিভিন্ন সময়ে ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেছেন। তিনি মাওলানা শহীদুল ইসলামকে ইমামতি করতে দেখেছেন।

মসজিদ কমিটির সদস্য বাবুল মুন্সি বলেন, মাওলানা শহীদুল ইসলামকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোনাজাতে সমস্যা হয়েছে।