- সারাদেশ
- জেলার সোহেলের অবৈধ সম্পদ ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা
দুদকের মামলা
জেলার সোহেলের অবৈধ সম্পদ ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা

২০১৮ সালে ভৈরব স্টেশনে বিপুল অর্থ ও মাদক ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস
দুই কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা করেছে দুদক।
সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সোহেল রানা বিশ্বাস তার ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও এক কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৮ টাকার অস্থাবরসহ মোট দুই কোটি ৬৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৩ টাকা মালিকানা অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদক অনুসন্ধান করে তার এক কোটি এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৯ টাকার স্থাবর ও দুই কোটি চার লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৭ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট তিন কোটি ছয় লাখ ৭০ হাজার ১২৬ টাকা সম্পদের মালিকানা অর্জনের তথ্য পায়। দুদকে দাখিল করা হিসাবে তিনি ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ টাকার তথ্য গোপন করেন। ময়মনসিংহ জেলার পোগাকান্দুলিয়া মৌজায় ১.৬৯ একর জমি ৩২ লাখ টাকা ধার্য করে হেবা দলিলের মাধ্যমে বাবা জিন্নাত আলী বিশ্বাস ২০১৮ সালের ২৬ জুন সোহেল রানা বিশ্বাসকে দান করেন। কিন্তু তিনি জীবিত থাকতে তার অন্য কোনো সন্তানকে সেই পরিমাণ জমি দান না করায় তা দুদকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এটি দুর্নীতির টাকায় কেনা সম্পদ বলে মনে করছে দুদক। সেইসঙ্গে তিনি ৯৯ হাজার ২৫৪ টাকা ও সাত হাজার ৫১০ টাকার জমি রেজিস্ট্রি খরচ গোপন করেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা থাকা সাত লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ৯৫ লাখ টাকা বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন বলে দাবি করলেও তার কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দেওয়ায় তা দুদকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার ব্যাংক এফডিআর, এক কোটি ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের চেক এবং ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হন জেলার সোহেল রানা। তার বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে। দুটি মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করেছে পুলিশ। এদিকে, দুদকের তদন্তকালে সোহেল রানা ও তার স্ত্রী, শ্যালকের নামে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও যশোরে ২৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ কোটি টাকা লেনদেনেরও তথ্য পায় দুদক।
মন্তব্য করুন