সুনামগঞ্জের ছাতকে আলোচিত তেরা মিয়া হত্যা মামলায় ২২ বছর পর একজনের যাবজ্জীবন ও নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। 

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি উপস্থিত ছিলেন। অন্য চার আসামি পলাতক আছেন।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ছাতকের বলারপীরপুর সড়কের তেতইখালে একটি সেতু নির্মাণ নিয়ে বলারপীরপুর গ্রামের বাসিন্দা কালারুখা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আরজু মিয়া ও তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বি গন্ধর্বপুর গ্রামের আব্দুল হাই আজাদ মিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর সকালে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আরজু মিয়ার পক্ষের অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত সবাইকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত তেরা মিয়া হাসপাতালে মারা যান। ঘটনার দুইদিন পর ২৪ নভেম্বর গন্ধর্বপুর গ্রামের ২৮ জনকে আসামি করে ছাতক থানায় মামলা করেন নিহতের ভাতিজা সিরাজুল ইসলাম। 

তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০০ সালের ২১ এপ্রিল ৪৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ শুনানী শেষে বৃহস্পতিবার অন্য নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া ৩১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি গোলাম মোস্তফা। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ ও অ্যাডভোকেট রবিউল লেইস রোকেস।