গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মারুফা আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে এ ঘটনায় ওই কিশোরীর স্বামী ইমন হোসাইনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ইমন তার শ্বশুরকে ফোন করে নিজের স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান।

নিহত মারুফা আক্তার উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বেড় গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে। সে পাশ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার বরমী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

অভিযুক্ত ইমন হোসাইন একই উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে।

নিহতের বাবা মাসুদ রানা জানান, মারুফা ছোটবেলা থেকে শ্রীপুরের বরকুল গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত। ইমনের সঙ্গে মারুফার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় এগার মাস আগে ইমনের সাথে তার মারুফার বিয়ে হয়। কিন্তু ইমনের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয় নি। তখন থেকেই মারুফাকে স্বামী ইমনের বাড়িতে নানা ধরনের নির্যাতন সইতে হত।

তিনি আরও জানান, প্রায় দেড় মাস আগে দশ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে মারুফা তার বাড়িতে চলে আসে। পরে ইমন তাকে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করলে মারুফা তাতে সাড়া দেয় নি। গত শুক্রবার দুপুরে ইমন তার বাড়িতে আসে এবং দিন শেষে দুজন রাতে একসঙ্গে ঘুমাতে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে মারুফার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন । পরে থানায় খরব দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নিহতের বাবা জানান, সকাল ১১ টার দিকে ইমন তাকে ফোন করে বলে, আমি আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি, এখন আমিও মরে যাব।

মারুফার বান্ধবী লিজা জানান, সকালে ইমন তাকে ফোন করে বলেছে, তোমার বান্ধবী আমার সাথে সংসার না করবে না বলেছে। সকাল হলেই আমাকে ডিভোর্স দিবে বলেও হুমকি দিয়েছিল। তাই তাকে গলা টিপে মেরে ফেলেছি।

কাপাসিয়া থানার ওসি এ.এফ.এম নাসিম জানান, লাশের গলায় দাগ দেখে এটাকে হত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদস্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।