পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ১০ ইন্দোনেশিয়ান নাবিক ও দুই বাংলাদেশি সার্ভেয়ার নিয়ে ড্রেজিংয়ের কাজে নিয়োজিত এক্সপ্রেস-৫৪ নামে একটি সার্ভে ভেসেল ডুবে গেছে। 

সোমবার সকালে রাবনাবাদ চ্যানেলের ৫ ও ৬ নং বয়ার পায়রা বন্দরের ফেয়ার বয় থেকে আনুমানিক ৭ নটিক্যাল দূরত্বে রাবনাবাদ চ্যানেলের ইনার সাইটে ইঞ্জিন রুমের পাশ দিয়ে ছিদ্র হয়ে পানি প্রবেশ করে। ফলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভেসেলটি ডুবে যায়। প্রথমে জেলেরা তাদের উদ্ধার করে। 

পরে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও পায়রা বন্দর কর্তৃৃপক্ষের হারবার মাস্টারের নেতৃত্বে পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ডেলটা নভেম্বর-৯২ টাগ বোটে করে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। 

উদ্ধার হওয়া ১০ বিদেশি নাবিকসহ ১২ জনই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে ড্রেজিংকাজে নিয়োজিত জান ডি নুল কোম্পানির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

পায়রা বন্দর কর্তৃৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরীফুর রহমান জানান, প্রায় এক বছর ধরে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল খননকাজে নিয়োজিত রয়েছে বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল। এ কোম্পানির সার্ভে ভেসেল এপপ্রেস-৫৪ রোববার ভোরে প্রতিদিনের মতো চ্যানেলের সাগর মোহনার ৫ ও ৬ নং বয়ার (কেপি-৩৩ পয়েন্টে) সার্ভে কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ ৩৬ দশমিক ৬ মিটার দীর্ঘ সার্ভে ভেসেলটির পেছন দিক দিয়ে পানি প্রবেশ করে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ডুবে যায়। ভেসেলে থাকা ১০ ইন্দোনেশিয়ান নাবিক ও দুই বাংলাদেশি সার্ভেয়ার নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয় জেলেরা ভাসমান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে। 

দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার ও মেরিন কমোডর মামুন অর-রশীদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ও ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকরা হলেন- ভেসেলের মাস্টার আরহাম আব্দুল রহিম, চিফ অফিসার মোহাম্মদ রিজাল, সেকেন্ড অফিসার দারমাওয়ান, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নুর, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ত্রিইয়ান্ত ওয়েলার-১ রহমত ফাদিল্লা, ওয়েলার-২ মুহা. আগাম ফয়েজ জুলফা, এবি-১ আদি ক্রিস্টিয়ান, এবি-২ রুডি রহমান, কুকার জোজুয়া অ্যাঞ্জেল ব্রেট এবং বাংলাদেশি সার্ভেয়ার শহিদুজ্জামান ইমন ও সোহানুজ্জামান সুমন।