- সারাদেশ
- মুরাদের পদত্যাগে সরিষাবাড়ী আ'লীগ নেতাকর্মীদের স্বস্তি
মুরাদের পদত্যাগে সরিষাবাড়ী আ'লীগ নেতাকর্মীদের স্বস্তি

ডা. মুরাদ হাসান- ফাইল ছবি
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর ডা. মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তার একক আধিপত্যে অনেকেই কোণঠাসা ছিলেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এখন এ দশা থেকে মুক্ত হয়েছেন তারা।
জামালপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত দুইবারের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ীতে নিজের ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন ডা. মুরাদ। এ বাহিনীর প্রধান সাখাওয়াতুল আলম মুকুলকে নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন। এ বাহিনীর তাণ্ডবে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একরকম জিম্মি হয়ে পড়েন। নিজেদের মতও প্রকাশ করতে পারতেন না তারা। নিজের বাহিনী দিয়ে মুরাদ উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এতে নেতৃত্ব দিতেন উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের চৌখা গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে সাখাওয়াতুল আলম মুকুল। এলাকায় পরিচিত হয়ে ওঠে মুরাদের মুকুল বাহিনী। মুকুলকে দিয়ে সরিষাবাড়ী নিয়ন্ত্রণ করতেন ডা. মুরাদ। তার একটি নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় ছিল সরিষাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। মুকুলের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মুরাদ। মঙ্গলবার তার পদত্যাগ ও জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাকে অব্যাহতির পর আত্মগোপনে চলে গেছেন মুকুল ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ জানান, দীর্ঘদিন পর ডা. মুরাদ হাসানের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়েছেন সরিষাবাড়ী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এখন সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে সরিষাবাড়ী। স্বস্তি এসেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের।
মন্তব্য করুন