- সারাদেশ
- ব্যাংক ম্যানেজারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গোপনে ঋণ মঞ্জুর
ব্যাংক ম্যানেজারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ফাইল ছবি
খুলনার দৌলতপুরের ব্যবসায়ী শেখ অহিদুল ইসলামের কোনো আবেদন ছাড়াই গোপনে ব্যাংকে তার নামে ৯০ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর হয়েছে। তিন মাস ধরে সেখানে লেনদেনও হয়েছে। এনআরবিসি ব্যাংকের সাতক্ষীরার কলারোয়া শাখায় এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত ব্যাংক ম্যানেজারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। পুলিশ থানায় জিডি করে দুদককে অবহিত করেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- এনআরবিসি ব্যাংক কলারোয়া শাখার ম্যানেজার মোশারেফ হোসেন, ম্যানেজার অপারেশন শাহেদ শরীফ, জুনিয়র অফিসার বদিয়ার রহমান, ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম শেখ এবং অজ্ঞাতনামা ব্যাংক কর্মকর্তা। তারা পরস্পরের যোগসাজশে জালিয়াতি করে এ ঋণ মঞ্জুর করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেখ অহিদুল ইসলাম দৌলতপুরের রাজীব মোটরসের স্বত্বাধিকারী ও খুলনা জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। বছরখানেক আগে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী রাব্বী এন্টারপ্রাইজের আব্দুল হালিম শেখ এনআরবিসি ব্যাংকে হিসাব খোলার কথা বললে তিনি ব্যাংকের ফরমে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু কোনো টাকা জমা না দেওয়ায় বিষয়টি মনে রাখেননি। গত নভেম্বরে অহিদুল ইসলাম খুলনার ব্র্যাক ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক তার নামে অন্য ব্যাংকে ঋণ আছে কিনা অনুসন্ধান করে।
এ সময় ব্যাংকের সিআইবি প্রতিবেদনে তার নামে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এনআরবিসি ব্যাংকে ৯০ লাখ টাকার টাইম লোন পাওয়া যায়। যা ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নেওয়া হয়েছে। যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালে ৩ জানুয়ারি। এই ঋণ হিসাবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন করা হয়েছে। ব্যাংক থেকে চেক বই গ্রহণ, পে-অর্ডার, এমনকি ব্যাংকের সুদও পরিশোধ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শেখ অহিদুল ইসলাম জানান, তিনি কোনোদিন ওই ব্যাংকে যাননি। হিসাব খোলার ফরম ছাড়া ব্যাংকের অন্য কোনো কাগজে স্বাক্ষর করেননি। কোনো লেনদেন বা চেক বইয়ের জন্য আবেদনও করেননি। সেখানে ৯০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ম্যানেজার এখন তাকে বারবার ফোন করে ক্ষমা চাচ্ছেন এবং অভিযোগ না করার জন্য অনুরোধ করছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনার উপপরিচালক নাজমুল আহসান বলেন, এ অভিযোগ তারা পেয়েছেন। প্রধান কার্যালয়ের অনুমতির পর তদন্ত শুরু করবেন।
এনআরবিসি ব্যাংক কলারোয়া শাখা ম্যানেজার মোশারেফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ব্যাংকে অহিদুল ইসলামের অভিযোগের পর এ টাকা সমন্বয় করে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রাহকের কোনো অভিযোগ নেই বলে তিনি দাবি করেন।
মন্তব্য করুন