- সারাদেশ
- খুন, চাঁদাবাজির আসামিরা মানবাধিকারকর্মী
আজ বিশ্বমানবাধিকার দিবস
খুন, চাঁদাবাজির আসামিরা মানবাধিকারকর্মী

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি আবদুল নবী লেদু। নগরের অক্সিজেন, আরফিননগর ও বাংলাবাজার এলাকার মানুষের কাছে 'মূর্তিমান আতঙ্ক' তিনি। খুন, চাঁদাবাজি দুই মামলার আসামি হলেও তার বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, পাহাড় কাটার অনেক অভিযোগ রয়েছে থানায়। পুলিশের খাতায় থাকা চিহ্নিত অপরাধী এখন বনে গেছেন মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা! তার সেকেন্ড ইন কমান্ড ১৭ মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন ওরফে সোর্স আনোয়ারকেও বানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, জমি দখলের মামলায় অভিযুক্ত আনোয়ারও লেদুর মানবাধিকার কমিটির কার্যনিবাহী সদস্য।
তাদের মতোই সীতাকুণ্ডে কথিত মানবাধিকার নেতা খোকন চন্দ্র নাথ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তীর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পটিয়ায় ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মানবাধিকার কাউন্সিলের উপজেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক বিপ্লব চৌধুরী। একইভাবে ১৮ লাখ টাকার ইয়াবাসহ নগরের লালখানবাজারের কথিত মানবাধিকারকর্মী সোহেল আহমেদ ওরফে রুবেল সরকারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক তিনি। প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি করা একাধিক মামলার আসামি দিদারুল আলমও এখন মানবাধিকার নেতা! হকার্স নেতা রিপন হত্যা মামলার এজাহারে প্রধান আসামি করা হলেও বাদী পরে আদালতে গিয়ে তাকে অব্যাহতি দিতে আবেদন করলে সেই মামলায় অব্যাহতি পান তিনি। ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
আবদুল নবী লেদু বলেন, আমার বিরুদ্ধে খুনসহ দুটি মিথ্যা মামলা আছে। আমি ভূমিদস্যু নই, কেউ জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলায় পড়লে বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মানবাধিকার নেতা হিসেবে বিচার করে দিই। আ জ ম নাছির ভাইয়ের বিশাল জায়গার ওপর শিশুদের স্কুল করে দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোর্স আনোয়ারের বিরুদ্ধে সবই হয়রানিমূলক মামলা। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
সোহেল আহমেদ বলেন, তাকে মাদক মামলায় ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
তবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সমাজের অসাধু কিছু মানুষ মানবাধিকার শব্দটি পচিয়ে ফেলেছেন। মানবাধিকারের কাজটিকে তারা ধান্ধা ও ব্যবসায় পরিণত করে ফেলেছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মনিটরিং করা জরুরি।
চট্টগ্রামে অর্ধশত মানবাধিকার সংগঠন সক্রিয় থাকলেও হাতে গোনা ছয়টি সংগঠনকে মানুষের কল্যাণে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন করোনাকালে সাধারণ মানুষের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন সেবা, ওষুধ, চাল, ডালসহ নিত্যপণ্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি আমিনুল হক বাবু বলেন, সারাবছরই দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের বিপদ যেখানে, সেখানেই আমরা আছি।
অধিকারবঞ্চিত অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সেবা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ)। চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, এক বছরে ২৫ অসহায় মানুষকে জামিনে মুক্ত করেছি, ৩৫ জনের জন্য আদালতে লড়েছি। ৪০টি ঘটনায় আপস, ১৭টি ঘটনার তথ্য অনুসন্ধান করে প্রবাসীসহ দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, বোয়ালখালীতে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায়ও অসহায় মানুষের পক্ষে লড়ছি।
চট্টগ্রামে খ্যাত ও অখ্যাত অর্ধশত মানবাধিকার সংগঠনের সিংহভাগের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম বছরজুড়ে চোখে পড়েনি। মানুষের কল্যাণে কাজে দেখা না মিললেও জন্মদিন পালন, মানবাধিকার আইডি কার্ড বিতরণ, ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, ইফতার পার্টিসহ ব্যক্তি প্রচারণার ছবি ফেসবুক ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় ছাপিয়েই আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে দেখা গেছে অনেককে। তার মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, সিপিআরএস-মানবাধিকার সংগঠন, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস মিশন সোসাইটি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি, বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ড, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি, এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। এগুলোর অধিকাংশ সংগঠন থেকে তাদের বার্ষিক কাজের খতিয়ান জানতে চাইলে সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-উপাত্ত দিতে পারেনি কেউ। সার্কের বিভাগীয় সভাপতি অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন বলেন, করোনাকালে আমরা প্রচুর কাজ করেছি। কতজনকে সেবা দিয়েছি, তার তো হিসাব করা হয়নি।
যদিও মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশনের সভাপতি শারমিন সুলতানা মৌ ও সম্পাদক সেলিম হোসেন চৌধুরী ঘটা করে শুভ জন্মদিন পালনেই বেশি সক্রিয়। আর 'ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনে'র বিভাগীয় সভাপতি মো. হাসান মুরাদের শখ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে তা পত্রিকায় ছাপানো।
তাদের মতোই সীতাকুণ্ডে কথিত মানবাধিকার নেতা খোকন চন্দ্র নাথ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তীর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পটিয়ায় ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মানবাধিকার কাউন্সিলের উপজেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক বিপ্লব চৌধুরী। একইভাবে ১৮ লাখ টাকার ইয়াবাসহ নগরের লালখানবাজারের কথিত মানবাধিকারকর্মী সোহেল আহমেদ ওরফে রুবেল সরকারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক তিনি। প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি করা একাধিক মামলার আসামি দিদারুল আলমও এখন মানবাধিকার নেতা! হকার্স নেতা রিপন হত্যা মামলার এজাহারে প্রধান আসামি করা হলেও বাদী পরে আদালতে গিয়ে তাকে অব্যাহতি দিতে আবেদন করলে সেই মামলায় অব্যাহতি পান তিনি। ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
আবদুল নবী লেদু বলেন, আমার বিরুদ্ধে খুনসহ দুটি মিথ্যা মামলা আছে। আমি ভূমিদস্যু নই, কেউ জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলায় পড়লে বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মানবাধিকার নেতা হিসেবে বিচার করে দিই। আ জ ম নাছির ভাইয়ের বিশাল জায়গার ওপর শিশুদের স্কুল করে দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোর্স আনোয়ারের বিরুদ্ধে সবই হয়রানিমূলক মামলা। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
সোহেল আহমেদ বলেন, তাকে মাদক মামলায় ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
তবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সমাজের অসাধু কিছু মানুষ মানবাধিকার শব্দটি পচিয়ে ফেলেছেন। মানবাধিকারের কাজটিকে তারা ধান্ধা ও ব্যবসায় পরিণত করে ফেলেছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মনিটরিং করা জরুরি।
চট্টগ্রামে অর্ধশত মানবাধিকার সংগঠন সক্রিয় থাকলেও হাতে গোনা ছয়টি সংগঠনকে মানুষের কল্যাণে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন করোনাকালে সাধারণ মানুষের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন সেবা, ওষুধ, চাল, ডালসহ নিত্যপণ্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি আমিনুল হক বাবু বলেন, সারাবছরই দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের বিপদ যেখানে, সেখানেই আমরা আছি।
অধিকারবঞ্চিত অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সেবা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ)। চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, এক বছরে ২৫ অসহায় মানুষকে জামিনে মুক্ত করেছি, ৩৫ জনের জন্য আদালতে লড়েছি। ৪০টি ঘটনায় আপস, ১৭টি ঘটনার তথ্য অনুসন্ধান করে প্রবাসীসহ দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, বোয়ালখালীতে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায়ও অসহায় মানুষের পক্ষে লড়ছি।
চট্টগ্রামে খ্যাত ও অখ্যাত অর্ধশত মানবাধিকার সংগঠনের সিংহভাগের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম বছরজুড়ে চোখে পড়েনি। মানুষের কল্যাণে কাজে দেখা না মিললেও জন্মদিন পালন, মানবাধিকার আইডি কার্ড বিতরণ, ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, ইফতার পার্টিসহ ব্যক্তি প্রচারণার ছবি ফেসবুক ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় ছাপিয়েই আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে দেখা গেছে অনেককে। তার মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, সিপিআরএস-মানবাধিকার সংগঠন, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস মিশন সোসাইটি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি, বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ড, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি, এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। এগুলোর অধিকাংশ সংগঠন থেকে তাদের বার্ষিক কাজের খতিয়ান জানতে চাইলে সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-উপাত্ত দিতে পারেনি কেউ। সার্কের বিভাগীয় সভাপতি অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন বলেন, করোনাকালে আমরা প্রচুর কাজ করেছি। কতজনকে সেবা দিয়েছি, তার তো হিসাব করা হয়নি।
যদিও মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশনের সভাপতি শারমিন সুলতানা মৌ ও সম্পাদক সেলিম হোসেন চৌধুরী ঘটা করে শুভ জন্মদিন পালনেই বেশি সক্রিয়। আর 'ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনে'র বিভাগীয় সভাপতি মো. হাসান মুরাদের শখ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে তা পত্রিকায় ছাপানো।
মন্তব্য করুন