- সারাদেশ
- লাশের সারি দীর্ঘ হলেও সিডিএ-চসিক নির্বিকার
লাশের সারি দীর্ঘ হলেও সিডিএ-চসিক নির্বিকার
নিখোঁজ শিশু কামালের লাশ মিলল তিন দিন পর

চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকার চশমা খাল থেকে নিখোঁজ শিশু কামাল উদ্দিনের লাশ বৃহস্পতিবার উদ্ধারের পর তার বাবা আলী কাউসারের আহাজারি - মো. রাশেদ
জানা ছিল, মৃত্যু অনিবার্য। বুকফাটা আর্তনাদে কেটেছে তিন দিন। তবে তারা লাশের আশা ছাড়েনি। শেষ পর্যন্ত শিশু কামালের লাশ তারা পেল। কিন্তু প্রায় বিকৃত হয়ে যাওয়া সে লাশের দিকে যে তাকানোও যায় না। 'লাশটা তো পেলাম'- এ সান্ত্বনাটুকু তো পেল পরিবার।
চট্টগ্রামের চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ গতকাল মিলেছে। খালে পড়ে এমন মৃত্যু গত চার মাসে অন্তত চারবার দেখল চট্টগ্রামবাসী। এর মধ্যে আগস্ট মাসে নিখোঁজ একজনের লাশও পায়নি পরিবার। এর আগে ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শিশুসহ চারজন নালায় পড়ে মারা যান।
কিন্তু এত কিছুর পরও নির্বিকার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তারা কেউই দায় নিচ্ছে না এসব মৃত্যুর।
অথচ এভাবে মানুষের প্রাণ যাওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ-সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি এমন মৃত্যুর জন্য উভয় সংস্থার উদাসীনতাকে দায়ী করে দিয়েছে রিপোর্ট। আদালতও সরকারি সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দিতে বলেছেন ক্ষতিপূরণ। জারি করেছেন রুলও। তারপরও নগরবাসীর নিরাপত্তায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক সিকান্দার খান বলেন, 'উন্নয়নের চেয়ে জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে নিরাপত্তা। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও চট্টগ্রাম এখন সবচেয়ে অনিরাপদ একটি নগর। উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সবাই মিলে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দূর করতে হবে ইগো। নিতে হবে কার্যকর উদ্যোগ।'
সক্ষমতাও নেই ফায়ার সার্ভিসের :নালা ও খালে পড়ে একের পর এক মানুষ নিখোঁজ হলেও লাশটিও পরিবারকে ফেরত দিতে পারছে না দমকল বাহিনী। লাশ উদ্ধারে প্রাণান্তকর চেষ্টা করলেও আধুনিক সরঞ্জাম না থাকায় অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে তাদের। গত ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুরে খালে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদের লাশ এখনও পায়নি তার পরিবার। দমকল বাহিনী টানা চার দিন চেষ্টা করেও হদিস পায়নি লাশের। একই পরিণতি হয়েছে ছোট্ট শিশু কামালের। তিন দিন আগে খালে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে সে। কিন্তু এখানেও ব্যর্থ হয়েছে দমকল বাহিনী। লাশ না পাওয়ার এমন ঘটনায় হতাশা আরও বাড়ছে নিহতদের পরিবারে। সালেহ আহমেদের ছেলে ছাদেকুল্লাহ মহিম বলেন, 'হাঁটতে গিয়ে খালে ভেসে গেল বাবা। সাড়ে তিন মাস পরও পাইনি বাবার লাশটি। মনকে কোনোভাবে সান্ত্বনা দিতে পারছি না আমরা।'
শিশু কামালের লাশ মিলল :নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর পাওয়া গেল ১০ বছরের শিশু কামালের লাশ। চশমা খালে পড়ে সে নিখোঁজ হলেও তার লাশ পাওয়া গেছে ঘটনাস্থলের প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের মির্জাখালে। গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মুরাদপুরে এন মোহাম্মদ কনভেনশন সেন্টারের পেছন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে নগরীর ষোলশহরে চশমা খালে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু কামাল।
নির্মম মৃত্যুর শিকার হলেন আরও যারা :শিশু কামাল উদ্দিনের মতো একই খালে পড়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। গত ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুরে খালে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। এর আগে গত ৩০ জুন মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে যায় একটি সিএনজি অটোরিকশা। প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে যান চালক সুলতান ও যাত্রী খাদিজা বেগম। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় সাদিয়ার মরদেহ।
দুই সংস্থার অবহেলাকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটিও :নগরের মুরাদপুরে চশমা খালে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যাওয়া সালেহ আহমেদের ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাদের তদন্ত রিপোর্টে সিডিএ ও সিটি করপোরেশনের অবহেলাকে দায়ী করে তারা।
১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আদালত জারি করেছেন রুল :চট্টগ্রামে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া নিহতের ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ব্যাপারে একটি রিট দায়ের করে। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্নিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আদালতের এমন নির্দেশনার মধ্যেই আবার খালে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার এমন ঘটনা ঘটল।
কথার যুদ্ধে ব্যস্ত চসিক ও সিডিএ :খাল ও নালায় পড়ে একের পর এক প্রাণ গেলেও এখনও টনক নড়েনি সিডিএ ও চসিকের। উল্টো চট্টগ্রাম নগর পরিচালনা নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান দুই কর্ণধার। নালা-নর্দমায় একের পর এক লাশ পড়ার ঘটনায় তারা একজন দায় চাপাচ্ছেন অন্যজনের ওপর।
যা বললেন সাবেক মেয়র ও প্রশাসক :জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, 'সিডিএ ও সিটি করপোরেশন যদি সমন্বিতভাবে কাজ করে, তাহলে কিছু সমস্যার সমাধান হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।' এ ব্যাপারটি চিন্তা করে এরই মধ্যে শতাধিক স্থানে চসিককে নিজ উদ্যোগে স্ল্যাব সরবরাহ করেছেন বলেও জানান তিনি। চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, 'হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। কিন্তু মানুষের মনে স্বস্তি নেই। হাঁটতে গিয়ে যদি লাশ হতে হয়, তাহলে মনে আশঙ্কা থাকাটা স্বাভাবিকও। দায়িত্বশীলরা সমন্বিতভাবে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না আমি।'
চট্টগ্রামের চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ গতকাল মিলেছে। খালে পড়ে এমন মৃত্যু গত চার মাসে অন্তত চারবার দেখল চট্টগ্রামবাসী। এর মধ্যে আগস্ট মাসে নিখোঁজ একজনের লাশও পায়নি পরিবার। এর আগে ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শিশুসহ চারজন নালায় পড়ে মারা যান।
কিন্তু এত কিছুর পরও নির্বিকার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তারা কেউই দায় নিচ্ছে না এসব মৃত্যুর।
অথচ এভাবে মানুষের প্রাণ যাওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ-সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি এমন মৃত্যুর জন্য উভয় সংস্থার উদাসীনতাকে দায়ী করে দিয়েছে রিপোর্ট। আদালতও সরকারি সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দিতে বলেছেন ক্ষতিপূরণ। জারি করেছেন রুলও। তারপরও নগরবাসীর নিরাপত্তায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক সিকান্দার খান বলেন, 'উন্নয়নের চেয়ে জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে নিরাপত্তা। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও চট্টগ্রাম এখন সবচেয়ে অনিরাপদ একটি নগর। উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সবাই মিলে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দূর করতে হবে ইগো। নিতে হবে কার্যকর উদ্যোগ।'
সক্ষমতাও নেই ফায়ার সার্ভিসের :নালা ও খালে পড়ে একের পর এক মানুষ নিখোঁজ হলেও লাশটিও পরিবারকে ফেরত দিতে পারছে না দমকল বাহিনী। লাশ উদ্ধারে প্রাণান্তকর চেষ্টা করলেও আধুনিক সরঞ্জাম না থাকায় অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে তাদের। গত ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুরে খালে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদের লাশ এখনও পায়নি তার পরিবার। দমকল বাহিনী টানা চার দিন চেষ্টা করেও হদিস পায়নি লাশের। একই পরিণতি হয়েছে ছোট্ট শিশু কামালের। তিন দিন আগে খালে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে সে। কিন্তু এখানেও ব্যর্থ হয়েছে দমকল বাহিনী। লাশ না পাওয়ার এমন ঘটনায় হতাশা আরও বাড়ছে নিহতদের পরিবারে। সালেহ আহমেদের ছেলে ছাদেকুল্লাহ মহিম বলেন, 'হাঁটতে গিয়ে খালে ভেসে গেল বাবা। সাড়ে তিন মাস পরও পাইনি বাবার লাশটি। মনকে কোনোভাবে সান্ত্বনা দিতে পারছি না আমরা।'
শিশু কামালের লাশ মিলল :নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর পাওয়া গেল ১০ বছরের শিশু কামালের লাশ। চশমা খালে পড়ে সে নিখোঁজ হলেও তার লাশ পাওয়া গেছে ঘটনাস্থলের প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের মির্জাখালে। গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মুরাদপুরে এন মোহাম্মদ কনভেনশন সেন্টারের পেছন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে নগরীর ষোলশহরে চশমা খালে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু কামাল।
নির্মম মৃত্যুর শিকার হলেন আরও যারা :শিশু কামাল উদ্দিনের মতো একই খালে পড়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। গত ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুরে খালে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। এর আগে গত ৩০ জুন মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে যায় একটি সিএনজি অটোরিকশা। প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে যান চালক সুলতান ও যাত্রী খাদিজা বেগম। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় সাদিয়ার মরদেহ।
দুই সংস্থার অবহেলাকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটিও :নগরের মুরাদপুরে চশমা খালে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যাওয়া সালেহ আহমেদের ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাদের তদন্ত রিপোর্টে সিডিএ ও সিটি করপোরেশনের অবহেলাকে দায়ী করে তারা।
১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আদালত জারি করেছেন রুল :চট্টগ্রামে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া নিহতের ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ব্যাপারে একটি রিট দায়ের করে। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্নিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আদালতের এমন নির্দেশনার মধ্যেই আবার খালে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার এমন ঘটনা ঘটল।
কথার যুদ্ধে ব্যস্ত চসিক ও সিডিএ :খাল ও নালায় পড়ে একের পর এক প্রাণ গেলেও এখনও টনক নড়েনি সিডিএ ও চসিকের। উল্টো চট্টগ্রাম নগর পরিচালনা নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান দুই কর্ণধার। নালা-নর্দমায় একের পর এক লাশ পড়ার ঘটনায় তারা একজন দায় চাপাচ্ছেন অন্যজনের ওপর।
যা বললেন সাবেক মেয়র ও প্রশাসক :জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, 'সিডিএ ও সিটি করপোরেশন যদি সমন্বিতভাবে কাজ করে, তাহলে কিছু সমস্যার সমাধান হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।' এ ব্যাপারটি চিন্তা করে এরই মধ্যে শতাধিক স্থানে চসিককে নিজ উদ্যোগে স্ল্যাব সরবরাহ করেছেন বলেও জানান তিনি। চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, 'হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। কিন্তু মানুষের মনে স্বস্তি নেই। হাঁটতে গিয়ে যদি লাশ হতে হয়, তাহলে মনে আশঙ্কা থাকাটা স্বাভাবিকও। দায়িত্বশীলরা সমন্বিতভাবে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না আমি।'
মন্তব্য করুন