কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নির্বাচনী  সহিংসতায় আহত শাকিল হোসেনের (২৪) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলকলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) তার মৃত্যু হয়। শাকিল নাঙ্গলকোট উপজেলার  আশারকোটা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। 
ঢাকা থেকে মরদেহ শুক্রবার সকালে নাঙ্গলকোটে আনা হয়েছে। পরে পুলিশ হেফাজতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুরে মরদেহ দাফন করা হতে পারে। দাফনের পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে একটি মামলা করা হবে বলে জানা গেছে।   
স্থানীয়রা জানান, বুধবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ হামিদের নির্বাচনী পথসভায় হামলা হয়। এতে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শাকিলকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নওয়া হয়। পরে পরে ঢামেকে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
শাকিল ঢাকায় ফুলকলি নামে একটি বেকারিতে কাজ করতেন। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার এক বছরের একটি ছেলে রয়েছে। 
হামলার বিষয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হামিদ বলেন, নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদারের লোকজন হামলা করে আমার ১০-১২ জন সমর্থককে আহত করে। তাদের মধ্যে শাকিল হোসেন ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। আমি এ ঘটনায় হত্যাকারীদের শাস্তি দারি করছি।
তবে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, শুনেছি বুধবার ঝামেলা হয়েছে। ওই ঝামেলায় গত রাতে একটা ছেলে মারা গেছেন। তবে হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। কারা এ হামলা করেছে এটা পুলিশ খুঁজে বের করবে। 
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) ফারুক হোসেন মুঠোফোনে সমকালকে বলেন, ঘটনার দিন সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। ছোটখাটো কিছু একটা হয়েছে। এ হামলায় কিভাবে মারা গেল একজন? এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।