- সারাদেশ
- নড়াইল মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছনার অভিযোগ
নড়াইল মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছনার অভিযোগ

নড়াইল মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি নড়াইল জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নড়াইল জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে নড়াইল মুক্ত দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানের শেষে নাস্তার প্যাকেট বিতরণ চলছিল। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে ৩-৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট এস এ মতিন নাস্তার প্যাকেট আনতে যান।
তখন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিসি অফিসের সহকারী নাজির বাবর আলীর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। তর্কবিতর্কের সময় বাবরসহ ডিসি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী এসএ মতিনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। তখন সাইফুর রহমান হিলু এগিয়ে গিলেও কর্মচারীরা তার ওপর চড়াও হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হিলু অভিযোগ করেন, ‘এ সময় উত্তেজিতভাবে আমাদের নিয়ে অশালীন আচরণ করতে থাকে তারা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি এবং মুজিব জন্মশতবর্ষের এ সময়ে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় দোষী কর্মচারীদের যদি উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া না হয়, তাহলে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট এস.এ মতিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ডিসি অফিসের কর্মচারি বাবর আলী চেয়ার দিয়ে আমাকে মারতে
উদ্যত হয়। আমরা এভাবে অপমানিত হবার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম?’
নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক টুকু জানান, নড়াইল মুক্ত দিবসের এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছনার ঘটনা মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে তার মোবাইল কেড়ে নেন কর্মচারীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে নড়ােইল জেলা প্রেসক্লাবও শুক্রবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
এই ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। বিষয়টির তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি বাইরে ছিলাম। নড়াইলে এসেছি। আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক সমাধানের জন্য সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বসবো।’
মন্তব্য করুন