- সারাদেশ
- ঘুম থেকে তুলে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা
ঘুম থেকে তুলে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা

মো. মামুনুর রশিদ
বগুড়ার শেরপুরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে হত্যার অভিযোগে মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোররাতে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কয়েরখালী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই বৃদ্ধ।
নিহতের নাম মতিউর রহমান (৬০)। তার বাড়ি উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কয়েরখালী স্বরোগ্রামে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহতের ছেলে মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। মামুন শনিবার বিকেলে বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে পাঁচ কেজি চাল চুরি করে স্থানীয় একটি মাজারের ওরসে দান করেন। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে চাল নিয়ে যাওয়ায় ছেলে মামুনকে শাসন করেন বাবা মতিউর রহমান। এরই জের ধরে রোববার ভোররাতে বৃদ্ধ বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন মামুন এবং দান করা চাল আনতে বাবাকে তার সঙ্গে যেতে বলেন। এরপর বাবা-ছেলে একসঙ্গে রওয়ানা হন।
পরে গ্রামের ফসলি মাঠের মধ্যে পৌঁছামাত্র মামুন তার কাছে থাকা রামদা দিয়ে কুপিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে রক্তাক্ত করেন। পরে তার চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর মতিউর রহমানকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় । পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মতিউর রহমানের মৃত্যু হয়।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন