নারায়ণগঞ্জে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চালকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারকে গাজীপুরের কিশোর অপরাধ সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদিউজ্জামান এ আদেশ দেন। রিমান্ডে নেওয়া বাসচালক নুরুল হক (২১) কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানার হাসেন আলীর ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চালক-সুপারভাইজার ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাসচালক নুরুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে চালকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ওই গৃহবধূ নরসিংদীর গাউছিয়া যাওয়ার জন্য রোববার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে সায়েদাবাদ-গাউছিয়া রুটে চলাচলকারী ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবহন’ নামে একটি বাসে ওঠেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় পৌঁছানোর পর সব যাত্রী বাস থেকে নেমে যায়।

পরে বাসটি বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাহিন গার্মেন্টসের সামনে গেলে চালক ও তার দুই সহকারী উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ কৌশলে বাস থেকে নেমে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার এবং ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।