- সারাদেশ
- এবার হত্যা মামলার এজাহার বদলের অভিযোগ চারঘাটের ওসির বিরুদ্ধে
এবার হত্যা মামলার এজাহার বদলের অভিযোগ চারঘাটের ওসির বিরুদ্ধে

ছবি: সমকাল
পুঠিয়ার পর এবার রাজশাহীর চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। বাদী অভিযোগ করেছেন, মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় মাইনুল ইসলাম সিলন হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করতে থানায় গেলে ওসি তা নেননি। সেই এজাহারে আসামি ছিল ২০ জন। কিন্তু ওসি তাদের মধ্যে থেকে ১৫ জনকে বাদ দিয়ে মাত্র পাঁচজনকে আসামি করে জোরপূর্বক মামলার বাদী ও নিহতের বাবা রিয়াজ আলীর স্বাক্ষর নেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহত সিলনের বাবা ও মামলার বাদী রিয়াজ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজ আলী জানান, তার ছেলের হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ২০ জনকে আসামি করে চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের কাছে তিনি এজাহার দিয়েছিলেন। কিন্তু ওসি সেটি গ্রহণ না করে নিজের তৈরি আরেকটি এজাহারে রিয়াজ আলীকে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন। পরে তিনি দেখতে পান, সেই এজাহারে ২০ জন আসামির মধ্যে কেবল গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা আসামিও। এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগ সত্য নয়। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িতও নয়। তবুও অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তে কারও নাম এলে যুক্ত করা হবে।'
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজ আলী আরও অভিযোগ করেন, মামলার এজাহার পরিবর্তন ছাড়াও এই পাঁচজনের বাইরে অন্য কাউকে আসামি করা যাবে না- এই মর্মে ওসি জাহাঙ্গীর মুচলেকায় তার স্বাক্ষর নিয়েছেন। তার কথার বাইরে কিছু করলে তার ছোট ছেলেকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ওসি। এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামিকেই এক নম্বর আসামি করা হয়নি। মামলার এজাহারের কপি চাইলে ওসি এর কোনো কপিও দেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন নিহত সিলনের স্ত্রী আলেয়া বেগম, ছোট ভাই ইব্রাহিম আলী রতন ও নিহত সিলনের দুই সন্তান।
প্রসঙ্গত, গত রোববার বিকেলে চারঘাটের ঝিকরা গ্রামে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মাইনুল ইসলাম সিলন নিহত হন। এ ঘটনায় র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আসামি সম্রাট, জুয়েল রানা, হাসান আলী, জনি হোসেন ও রাসেল মিয়া।
এর আগে পুঠিয়ার সাবেক ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় তিনি বরখাস্ত হন। ১২ ডিসেম্বর রাজশাহীর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
মন্তব্য করুন