পাবনার সাঁথিয়ায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোগীর স্বজনের অভিযোগ, সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মামুন আব্দুল্লাহর ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীকে নিয়ে গেলে তিনি ভুল ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। আর এতে সেখানেই রোগী মারা যান। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসককে মারধর করছেন রোগীর স্বজনরা।

মৃত রোগী আনিছুর রহমান মকুল (৫৫) উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তার পরিবার অভিযোগ করেছে, সোমবার দুপুরে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা উঠলে তাকে চিকিৎসার জন্য সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মামুন আব্দুল্লাহর চেম্বারে নিয়ে যেতে বলেন। সাঁথিয়া পৌর শহরের ইতালি সুপার মার্কেটে অবস্থিত ওই চেম্বারে নিলে ডা. মামুন তাড়াহুড়ো করে রোগীকে একটি ইনজেকশন দেন। এতে তাৎক্ষণিক রোগী মারা যান।

অভিযুক্ত ডা. মামুন আবদুল্লাহ বলেন, ‘রোগী আমার চেম্বারে আলট্রাসনোগ্রাম করাতে এসেছিলেন। এখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তাকে বাঁচাতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। আমাদের সামনে মারা যাচ্ছিল তাই বাঁচাতে ইনজেকশন দিয়েছি। চিকিৎসক হিসেবে মুমূর্ষু রোগীকে প্রয়োজনে ইনজেকশন দিতেই পারি।’

সাঁথিয়া থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবারের লোকজন থানায় কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, রাগী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন, এ ধরনের একটা সংবাদ শুনেছি। তবে ইনজেকশন দেওয়ার পর মারা গেছেন কি না, তা জানি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।