খুলনার বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফারুক হোসেনসহ ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে বটিয়াঘাটার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সদর থানা পুলিশ। গত ২২ নভেম্বর সদর থানায় পুলিশের করা সহিংসতা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফারুক হোসেন, সদস্য নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, নুর ইসলাম, সৈয়দ অহিদুজ্জামান, হেমায়েত হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম, আলমগীর, আনসার, আব্দুস সালাম ও জাকির শিকদার। মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।

বিএনপির আইনজীবী তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার বলেন, বটিয়াঘাটার বিভিন্ন জায়গা থেকে ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ২২ নভেম্বর দুপুর ও বিকেলে অনুষ্ঠিত সমাবেশ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের দু'দফা সহিংসতা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১১ জনের মধ্যে কারোরই নাম নেই। তারপরও অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. হানিফ। তিনি জানান, ওসি বাইরে আছেন, আর তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলবেন না।

ওই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নগরের কেডি ঘোষ রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের মুক্তি, পুলিশি অভিযানের নামে হয়রানি বন্ধ করারও দাবি জানান নেতারা। দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, নগরীর পুলিশ বাইরে একটি উপজেলায় গিয়ে নেতাকর্মীদের আটক করেছে, এটি উদ্দেশ্যমূলক। ২৬ ডিসেম্বর বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে স্বতন্ত্রভাবে অনেকেই নির্বাচন করছেন, যাদের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সমর্থন দিচ্ছেন। এ কারণে এভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা স ম আব্দুর রহমান, আজিজুল হাসান দুলু, মুর্শিদ কামাল ও কে এম হুমায়ুন কবির।