ফেরিস্বল্পতা ও নাব্য সংকটে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন পারাপার। ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। মঙ্গলবারও নদী পারাপারের অপেক্ষায় ছিল পণ্যবাহী প্রায় ৭০০ ট্রাক। ছিল যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহনের জট।

এ নৌরুটে চলাচল করা ১৮টি ফেরির মধ্যে বিকল রয়েছে পাঁচটি। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানজট দেখা দেওয়ায় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও কোচ পারাপার করছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের তিন-চার দিন করে ঘাটেই পড়ে থাকতে হচ্ছে।

আমিনবাজার থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী ট্রাকের চালক নয়ন মোল্লা জানান, তিনি সোমবার বিকেলে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারেননি। গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী ট্রাকের চালক আব্বাস আলী জানান, রোববার রাত ১২টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে এসেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ফেরির টিকিট পাননি তিনি। এ রকম প্রায় ৭০০ ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় পড়ে রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান জানান, এ নৌরুটে চলাচল করা ১৮টি ফেরির মধ্যে বনলতাসহ পাঁচটি ফেরি বিকল হয়ে পাটুরিয়ায় ভাসমান কারখানা মধুমতিতে পড়ে আছে। বর্তমানে ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, ফেরিস্বল্পতা, নদীতে নাব্য সংকট ও প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে যানবাহনের চাপ বাড়ায় ঘাট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ নৌরুটে প্রতিদিন ১৭-১৮টি ফেরি সচল থাকলে ঘাটে যানজট হবে না। ফেরিস্বল্পতার কারণেই বেশি সমস্যা হচ্ছে।