কেরানীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত মুক্তিযোদ্ধা গাজী শহিদুল্লাহ মিয়া মঙ্গলবার মারা গেছেন। ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব মীমাংসায় সালিশ-বৈঠক করায় ক্ষুব্ধ একটি পক্ষের সন্ত্রাসীরা গত শুক্রবার আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও এলাকায় তাকে ছুরিকাঘাত করে। এ হামলায় তার ছেলেসহ পাঁচজন আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দা গাজী মাসুম হোসেন জানান, তার ভাগিনার সঙ্গে কিছুদিন আগে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী শামীম, মমিন, রিপনের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় সালিশ-বৈঠক করেন মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ মিয়া। বৈঠকে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মমিনুলের বিপক্ষে রায় যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার শামীম ও মমিনের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী শহিদুল্লাহ মিয়াকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে আবিদ, সাইফুল, আসাদুল, আব্দুন নুর এগিয়ে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা শহিদুল্লাহ মিয়াকে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতাল ও অন্যদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শহিদুল্লাহকে বাড়িতে নেওয়ার পর মঙ্গলবার ভোরে তার অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আগেই একটি মামলা হয়েছিল। আহত শহিদুল্লাহ মিয়া মারা যাওয়ায় ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আগের মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।