অনলাইনে কেনাবেচার বিজ্ঞাপন প্রকাশের ওয়েবসাইট সেলবাজারে নিজের সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মাদার্শা এলাকার মো. জোনায়েদ। কয়েকদিন পর যোগাযোগ করেন এক ক্রেতা। মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে আসতে বলেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা বাজার এলাকায়। মোটরসাইকেল দেখে পছন্দও করেন তিনি। এর পর টেস্ট রাইড দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট দেন। 

শুধু জোনায়েদের নয়, এভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাই হচ্ছে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য। 

এমন অভিনব কৌশলে মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের দুইজনকে সোমবার মীরসরাই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ। 

তারা হলেন- মীরসরাই থানার মীরসরাই বাজার এলাকার  মেহেরাজ হোসেন চৌধুরী (২০) ও মধ্যম মগাদিয়া গ্রামের শাহরিয়ার হোসেন সাব্বির (২০)। এদের মধ্যে মেহেরাজ নিজামপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

মো. জোনায়েদ সমকালকে বলেন, ‘সেলবাজারে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর রাকিব হোসেন চৌধুরী নামে একটি আইডি থেকে ফেসবুকে যোগাযোগ করা হয়। তিনি গাড়ি কেনার কথা বলে গত ১৩ ডিসেম্বর বালুচরা বাজারে আসতে বলেন। গাড়ির সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। একপর্যায়ে টেস্ট রাইডের কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। তার ফেসবুক আইডিটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন। মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে থানায় মামলা করেছি।’  

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সমকালকে বলেন, ‘অনলাইনে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে ভুয়া আইডি ও অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম থেকে যোগাযোগ করে ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। বিক্রেতাকে নিজেকে বড় লোকের ছেলে পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। পরে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে বলে। টেস্ট রাইডের কথা বলে মোটরসাইকেল ছিনতাই করেন তারা।’

তিনি আরও বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলা পাওয়ার পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে মেহেরাজকে শনাক্ত করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগেও মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে গিয়ে ফেনীতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মেহেরাজ।