বন্ড ও শেয়ারে ৬৫ কোটি টাকা সাঈদ খোকনের

সাঈদ খোকন
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৪:২৪ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৪:২৪
২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের কাছে নগদ ছিল ১ কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এবার তাঁর নগদ রয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ওই সময় তাঁর স্ত্রীর হাতে ৩০ লাখ টাকা নগদ থাকলেও এখন রয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া, সাঈদ খোকনের বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার আছে ৬৫ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। তাঁর গাড়িটির দাম ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া তাঁর হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
সাঈদ খোকন আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নগদ টাকা ছাড়াও ব্যাংকে আছে তাঁর নিজের ৪ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার এবং স্ত্রীর ৮৫ লাখ ১ হাজার ২৩০ টাকা। এ ছাড়া তাঁর বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার আছে ৬৫ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। এখন তিনি যে গাড়ি ব্যবহার করেন তার দাম ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ৩২ লাখ টাকার আরেকটি গাড়ি আছে তাঁর স্ত্রীর। তবে ২০১৫ সালে মেয়র পদে নির্বাচন করার সময় সাঈদ খোকনের গাড়ির দাম ছিল ৩৮ লাখ এবং স্ত্রীর গাড়ির দাম ৩২ লাখ টাকা।
হলফনামায় ১৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার থাকার কথা লিখেছেন সাঈদ খোকন। তাঁর স্ত্রীর কাছেও আছে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার। তবে ২০১৫ সালে সাঈদ খোকনের কোনো স্বর্ণালংকার ছিল না। স্ত্রীর ছিল ২ লাখ ৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার। নিজের ৫০ লাখ টাকার ও স্ত্রীর ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে বলে লিখেছেন সাবেক এই মেয়র।
নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করে সাঈদ খোকন হলফনামায় লিখেছেন, ব্যবসায় তাঁর নিজের বিনিয়োগ ৩ কোটি ৫ লাখ ৭ হাজার ও স্ত্রীর ২ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ঢাকার নাজিরাবাজারে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া একটি বাড়ি আছে তাঁর।
এ ছাড়া, গুলশানে আরেকটি বাড়ি রয়েছে, যার দাম ২৩ কোটি ১১ লাখ ও বনানীর বাড়ির দাম ৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তাঁর নিজের না থাকলেও স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি রয়েছে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকার।
২০১৫ সালে মেয়র পদে নির্বাচন করার সময় তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল ছয়টি। বন্ড ও ঋণপত্র ছিল ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার। এ ছাড়া, শেয়ার ছিল ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার। তখন ব্যবসায় তাঁর বিনিয়োগ ছিল ৩৪ লাখ এবং স্ত্রীর ৭৬ লাখ টাকা। ঋণ ছিল ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা।