ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হলফনামার তথ্য

টক শো করে কামরুলের বছরে আয় অর্ধলাখ টাকা

টক শো করে কামরুলের বছরে আয় অর্ধলাখ টাকা

অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম

 সাব্বির নেওয়াজ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৪:২৯

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম টেলিভিশনে টক শো করে বছরে আয় করেন ৫০ হাজার টাকা। এর বাইরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা হিসেবে ২ লাখ ৬৭ হাজার এবং ব্যাংক সুদ থেকে ৫ লাখ ২৩ হাজার ৪৯ টাকা আয় তাঁর।

সংসদ সদস্যের সম্মানী থেকে আয় বছরে ২৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তাঁর প্রায় দেড় কোটি টাকার দুটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া তাঁর হলফনামা থেকে এই তথ্য জানা যায়।  

ঢাকা-২ আসনে এবারও নৌকার প্রার্থী কামরুল ইসলাম। এই আসন থেকে এর আগে তিনবার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এই তিন মেয়াদে দুটি প্লট, দুটি ফ্ল্যাটের পাশাপাশি একাধিক গাড়ির মালিক হয়েছেন অ্যাডভোকেট কামরুল। 

২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী হন। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সম্পদ বেড়েছে। 

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, কামরুল ইসলাম এলএলবি পাস। বর্তমানে তিনি কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি নন। পেশায় তিনি আইনজীবী। এই পেশা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৯৫ লাখ ২ হাজার ৬৬৭ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া হলফনামায় কামরুল ইসলাম বাড়ি ভাড়া থেকে আয় দেখান ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। সে হিসাবে এবার এই খাতে তাঁর আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

কৃষি ও ব্যবসা থেকে কামরুল ইসলামের কোনো আয় নেই। তাঁর নগদ আছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮৮১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫৬ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেট, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৩৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৫ টাকা। নিজ নামে ১০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে তাঁর, যার দাম ১০ লাখ টাকা। ২ লাখ ২৫৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। 

অন্যান্য খাতের মধ্যে ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টে তাঁর ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। আইন ব্যবসায় পুঁজি খাটিয়েছেন ২৭ লাখ ১০ হাজার ৬৬৭ টাকা। 

হলফনামা মতে, স্থাবর সম্পদের মধ্যে কামরুল ইসলাম ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল কারও নামে কোনো কৃষিজমি নেই। অকৃষি জমি ও অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক দাম অনুসারে তাঁর রয়েছে (ক) ৪ কাঠা জমি, মিরপুর হাউজিং এস্টেটে– মূল্য ৩ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা, (খ) ১০ কাঠা জমি, পূর্বাচল-নিউ টাউন, ঢাকা– মূল্য ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪১৫ টাকা।

দালান, আবাসিক বা বাণিজ্যিক সংখ্যা, অবস্থান ও অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য (ক) ০৪৩২ অযুতাংশে জমিতে ৪৮/১, আজগর লেনে পৈতৃক বাড়ি চার তলা বিল্ডিংয়ের ৯৬৬ দশমিক ৪৬ বর্গফুট, যার মূল্য ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯১ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট সংখ্যা ও অর্জনকালীন আর্থিক মূল্য হিসেবে ১ দশমিক ৭৫ কাঠা জমিতে মিরপুর আবাসিকে দুটি ফ্ল্যাট– মূল্য ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭০৭ টাকা।

আরও পড়ুন

×