টাঙ্গাইল-৪
লতিফ সিদ্দিকীর সড়ক অবরোধে নেতাকর্মীদের ছাড়ল পুলিশ

সড়ক অবরোধকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে লতিফ সিদ্দিকী। ছবি-সমকাল
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৬:৩৭
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের কালিহাতী থানার সামনে অবরোধ করেন সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা। খবর পেয়ে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম কালিহাতীতে ছুটে আসেন। তার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের আলোচনা হয়। পরে দুইজন এজহারভুক্ত আসামিকে রেখে অপর চারজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। পরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় সড়কের দু’পাশে বহু যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন শতশত যাত্রী।
জানা যায়, সংসদ নির্বাচনের পরেরদিন কালিহাতীর নাগবাড়ীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আব্দুল কাইয়ুম আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের অনুসারী। এ ঘটনায় ওইদিন কয়েক জনের নামে ও অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর কালিহাতী থানা পুলিশ মনির সওদাগর ও লাট মিয়া নামের দুইজন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সবাই লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে নির্বাচন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী সাবেক চেয়ারম্যান হাসমত আলী ও মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী তাদের খোঁজখবর নিতে থানায় যান। এসময় তাদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লতিফ সিদ্দিকী ও তার ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী তাদের শত শত নেতাকর্মী নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন। এসময় তারা গ্রেপ্তারদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশ হাসমত আলী ও মোশারফ হোসেন সিদ্দিকীকে ছেড়ে দিলেও এজাহারভুক্ত দুই আসামীসহ ৬ জনকে থানায় আটক করে রাখে।
এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত পরাজিত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার তার নেতাকর্মীদের নিয়ে থানার দিকে আসতে থাকে। সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ দুই পক্ষের মধ্যে অবস্থান নিয়ে মোজহারুল ইসলাম তালুকদারের অনুসারীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়।
অপরদিকে বড় ভাইয়ের অবস্থান ধর্মঘটের খবর পেয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী কালিহাতীতে ছুটে আসেন। তিনি বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ও আন্দোলন কারীদের সঙ্গে কথা বলে থানার ভেতর ঢুকেন। এসময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন পরে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে রেখে বাকি অপর চারজনকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়। কাদের সিদ্দিকী এতে সম্মতি দেন। পরে আন্দোলনকারীদের কাছে এসে এ ঘোষণা দিলে তারা অবোরধ তুলে নেন। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছিল। চারজনকে ছেড়ে দিয়ে দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।