এ. কে. আজাদ
প্রশাসন আন্তরিক হলে সন্ত্রাস দুর্নীতি দূর করা সম্ভব

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিজয়ী এ. কে. আজাদ
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ২৩:৪৩ | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৩:৫২
সরকারের সদিচ্ছা এবং প্রশাসন আন্তরিক হলে ফরিদপুরকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৩ আসনে বিজয়ী এ. কে. আজাদ। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ঝিলটুলীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ীদের নিয়ে সংসদে বিরোধী দল গঠন করার ইঙ্গিত দেন এ. কে. আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমৃদ্ধ ফরিদপুর গঠনের অঙ্গীকার করেন এ. কে. আজাদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে ভোট কেটে নেওয়ার অভিযোগ করেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন ও শান্তিপূর্ণ ভোট বানচালের অপচেষ্টার জন্য তাঁকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলেও উল্লেখ করেন। নৌকার প্রার্থী শামীম হকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ. কে. আজাদ বলেন, ‘শামীম হক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমার ভাই। আমি তাঁকে অনুরোধ করি, আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে ফরিদপুরের উন্নয়নে কাজ করি। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এ. কে. আজাদ ফরিদপুর-৩ আসনের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘যারা মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তাদের কাছে আমি চিরঋণী।’ ভোটের প্রচারণা শুরুর পর ঈগলের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকের ওপর হামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটের আগের দিন আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ভোলা মাস্টারের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু হামলা, মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মানুষ আমাকে সাহস ও সমর্থন দিয়ে গেছে, তারা ব্যালটে জবাব দিয়েছে।’
ফরিদপুরকে একটি মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাবেন বলে এ সময় উল্লেখ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী এ. কে. আজাদ। সারাদেশের মতো ফরিদপুরেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হওয়ায় তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
৫৯ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী এ. কে. আজাদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার আহ্বানে স্বতন্ত্র দাঁড়িয়েছি, আমরা আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ নই। নেত্রী যদি মনে করেন আমাদের বিরোধী দল গঠন করা উচিত, তাহলে হবে। যেহেতু জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি এবং স্বতন্ত্র ৬২টি সিট পেয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেক বিদেশি ফোন করে আমাকে বলেছেন, আপনাকে নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে, আপনি বিরোধী দলের নেতা হতে রাজি আছেন কিনা। আমি বলেছি, সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে হবে, ওনার আলোচনার বাইরে যেতে পারব না।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরকারের সদিচ্ছা ও প্রশাসন আন্তরিক হলে ফরিদপুরকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এ. কে. আজাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা নুসরাত রাসুল তানিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।