‘অস্থিরতার জন্য দায়ী নওগাঁর কিছু চালকল মালিক’
.
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ | ২২:৪৮
চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য উত্তরবঙ্গ, বিশেষ করে নওগাঁর কিছু চালকল মালিককে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ। তিনি বলেছেন, তারা হঠাৎ করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দেশে মিনিকেট চালের প্রধান মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চালের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় জেলার পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
কয়েকজন মিল মালিক দাবি করেন, চালের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে তাদের কোনো হাত নেই। বাজারে ধানের দাম চড়া হাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। তবে গত দুই-তিন দিন ধরে দাম কমতে শুরু করেছে।
এ সময় মিল মালিকদের কেউ কেউ পরস্পরবিরোধী বক্তব্যও দেন। আনোয়ার হোসেন নামে একজন দাবি করেন, খাজানগরের কিছু বড় মিল মালিকের গুদামে ধান মজুত রয়েছে। তার মতো ছোট মিল মালিকরা প্রায় প্রতিদিন ধান কিনে চাল তৈরি করেন। এ ক্ষেত্রে বড় মিল মালিকরা চালের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারেন।
জেলা চালকল মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি আব্দুর সামাদ বলেন, সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে– এ আশঙ্কা থেকে পাইকাররা এখান থেকে চাল কেনা বন্ধ রেখেছিলেন। নির্বাচনের পর সব পাইকার একসঙ্গে চাল কেনা শুরু করায় দাম বেড়ে গেছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী ও মিল মালিক বলেন, ছোট ও মাঝারি কৃষকের ঘরে ধান নেই। বেশির ভাগ ধান বড় কৃষক, ফড়িয়া, ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের গুদামে। তাই বোরো মৌসুমের আগে ধানের দাম বাড়াতে একটি চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।
পরে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা কুষ্টিয়ার মোকামে চালের দাম নির্ধারণের জন্য সবার মতামত চান। এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেন বলেন, খাজানগর মোকামে মিলগেটে মিনিকেট চালের কেজি আগে ছিল ৬০ টাকা। তিনি সেই দাম বলবৎ রাখার প্রস্তাব করেন। কিন্তু চালকল মালিকরা ৬২ টাকা করার প্রস্তাব দেন। পরে চালের দাম নির্ধারণ ছাড়াই সভা শেষ হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে– খাদ্য অফিসের লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না। কারও গুদামে অবৈধ মজুত পেলে এবং বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।