- সারাদেশ
- সালথায় বাড়িঘর ভাংচুর-সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ১৬
সালথায় বাড়িঘর ভাংচুর-সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ১৬

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া ও ভাবুকদিয়া গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে ।
শুক্রবার বেলা ১১টার সময়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা। এসময় সালথা থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান ও ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ওসি রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর সমর্থক সরোয়ার মাতুব্বার ও গট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন মিয়ার সমর্থক হিরু মোল্যার মধ্যে এলাকায় অধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। সকাল ১০ টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এতে উভয়পক্ষের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে সাত জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। এ সময় স্থানীয় ভাবুকদিয়া গ্রামের পিকুল মাতুব্বর, বড় বালিয়া গ্রামের ইমরুল, নিটুল, আক্কাস, আবুল, বারিক, জাহিদ ও তারা মাতুব্বরের বাড়িসহ বেশকিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর করে এবং পিকুল মাতুব্বরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩০ রাউন্ড শটগানের গুলি, ১৪টি গ্রাস সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর ও গট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদ্য ইউপি নির্বাচনের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। নির্বাচনের পরে এই দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন