- সারাদেশ
- কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল

ছবি: সমকাল
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সৈকত শহর কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। কানায় কানায় পূর্ণ সাগর তীরে হাজার হাজার পর্যটক উচ্ছাসে মেতেছেন। কেউ সৈকতের বালিয়াড়িতে আনন্দ কোলাহলে মত্ত, কেউ সমুদ্র স্নানে মাতোয়ারা।
পর্যটকদের আশঙ্কা- করোনা পরিস্থিতির কারণে আবার হয়তো লকডাউন আসতে পারে। তাই অনেকে আগে ভাগেই ঘুরে যাচ্ছেন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার সকাল থেকেই সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে দলে দলে নামতে শুরু করেন ভ্রমণ পিপাসুরা। সাগরের নোনা জলে নেমেই যেন তাদের সব প্রশান্তি।
সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় ঢাকার মিরপুর থেকে আগত পর্যটক ছামিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন- ‘অনেক দিনের ইচ্ছে, কক্সবাজার বেড়াতে আসব। অবশেষে ছুটির দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসতে পেরেছি। এখানে সৈকতে নেমে অসাধারণ এক অনুভূতি, দীর্ঘ যাত্রাপথের সকল ক্লান্তি ভুলে গেছি। খুব ভালো লাগছে।’
চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন হুমায়ারা বেগম। তিনি বলেন- ‘সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে অন্য রকম এক প্রশান্তি। এখানে মনের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে থাকা যায়।’
আরেক পর্যটক রিসাত উন নবী বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে অন্যকোন স্থানের তুলনাই হয় না। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চমৎকার। পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে সব পয়েন্টে। কক্সবাজার ঘুরে বেশ আনন্দ পাচ্ছি।’
এদিকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের আশঙ্কায় প্রশাসনের রয়েছে নানা নির্দেশনা। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অনেকে তা মানতে নারাজ। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে জলে নামলে মুখে মাস্ক রাখা কি আর সম্ভব হয়। পুলিশও এখানে অসহায় দৃষ্টি রাখা ছাড়া আর কিছু করতে পারছে না।
লাবণী পয়েন্টে পর্যটক রুমিনা খান বলেন, ‘করোনার বিধি-নিষেধ সামনে কঠোর হতে পারে। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে চলে এলাম। সৈকতে গোসল ও ঘোরাঘুরি করছি স্বামী-সন্তান নিয়ে। এমন আনন্দ উত্তেজনায় করোনার শঙ্কা মাথাতেই নেই।’
সী সেইফ লাইফ গার্ড ইনচার্জ আবদু শুক্কুর বলেন, ‘নতুন বছরের প্রথম ছুটির দিনে কক্সবাজারে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট লোকে লোকারণ্য। সবাই বেশ মজা করছে, নোনা জলে গোসল করছে।’ তিনি বলেন- ‘পর্যটকদের সমুদ্র স্নান নিরাপদ রাখতে তিনটি পয়েন্টে লাইফ গার্ড কর্মীরা সবসময় নিয়োজিত রয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে- পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার শিকার না হন।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহি উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য সব পয়েন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। সাদা পোষাকেও পুলিশ কাজ করছে। কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন- ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি পর্যটকদের ভিড় উখিয়ার ইনানী, হিমছড়ি, পাতুয়ারটেকন টেকনাফ সহ প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনেও। সব জায়গায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন