কবর জিয়ারত, দোয়া, মিলাদ ও আলোচনার মধ্য দিয়ে ফেলানীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনিটারীর নিজ বাড়িতে এসব আয়োজন করে ফেলানীর পরিবার। এ সময় পরিবারের লোকজন ছাড়াও ঢাকার নাগরিক পরিষদ, স্থানীয় বিজিবি সদস্যসহ এলাকাবাসী অংশ নেন।

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু জানান, এ বছরেও তিনি ঘরোয়াভাবে আয়োজন করেছেন। ফেলানীর আত্মার শান্তির জন্য সবাই দোয়া করেছে। আলোচনা সভায় বিচারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

রাত থেকে ফেলানীর বাড়িতে ছিলেন ঢাকার নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন। তিনি বলেন, ফেলানীসহ সব সীমান্তহত্যার দ্রুত বিচার, ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবস ও নিরাপদ সীমান্ত দিবস এবং অনন্তপুর সীমান্তকে ফেলানী সীমান্ত নামকরণের দাবিতে ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নাগরিক কমিটি। শুরুতে জাতিসংঘে এসব প্রস্তাব পাঠানো হয় এ সংগঠনের মাধ্যমে। তারা জানিয়েছেন, কোনো রাষ্ট্র আবেদন করলে বিবেচনায় নেয় জাতিসংঘ। সে কারণে সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতিসংঘকে যেন প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে বিএসএফের গুলিতে ফেলানীর দেহ লুটে পড়ে সীমান্তের কাঁটাতারে। ঝুলে থাকে চার ঘণ্টা, যা বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। আড়াই বছর পর শুরু হয় বিচার। আত্মস্বীকৃত খুনি অমিয় ঘোষকে খালাস দিয়ে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করেন বিএসএফের বিশেষ কোর্ট। এরপর বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে ফেলানীর বাবার রিট ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই গ্রহণ হলেও শুনানি হয়নি আজও।