দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শরীফ উদ্দিন আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলায় অপর আসামি আফজাল হোসেন কবিরাজের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল জেলার পার্বতীপুর উপজেলার শিংগীমারী তকেয়াপাড়া (জমিরহাট) গ্রামের মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে।  খালাসপ্রাপ্ত আফজাল হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ্যাড. তৈয়বা বেগম জানান,  স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট

এদিকে শিশুর বাবা রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার মেয়ের সাথে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেটা যেন আর কারো মেয়ের সাথে না হয়। রায়ে আমি খুশী। তবে তার ফাঁসির আদেশ হলে বেশি খুশি হতাম।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে এখনও অসুস্থ। তাকে সবসময়ই চিকিৎসা দিতে হয়।

গত ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর দুপুরে খেলতে বাইরে গেলে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় পার্বতীপুর উপজেলার জমিরের হাট তকেয়া পাড়া এলাকার পাঁচ বছর বয়সী ওই শিশু কন্যা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটির সন্ধান না পেয়ে রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। পরের দিন সকালে শিশুটিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী হলদী ক্ষেত থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায়  মেয়েটিকে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা পার্বতীপুর থানায় একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।