নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া হাতকড়া পরা অবস্থায় এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া থানা পুলিশের এসআই তানভীর মেহেদি বাদী হয়ে এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করেন।

ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামির নাম মমিন মিয়া। তিনি উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, মমিন মিয়া কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মামলার এজাহার নামীয় আসামি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার উপিস্থিতি নিশ্চিত হয়ে বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রাম থেকে মমিনকে গ্রেপ্তার করে হাতকরা পরান।

এসআই তানভীর মেহেদি জানান, এ সময় মমিন মিয়া ছুটে যাওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও চিৎকার শুরু করেন। এ সময় মমিন মিয়ার চিৎকারে ইসলাম উদ্দিন, সাব্বির হোসেন, রুবেল, সোহেল, হালেমা, মুখলেছ, বিজয়, আবুল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন এসে লাটিসোটা নিয়ে অতর্কিতে পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে হামলা চালায়। তাদের এলোপাথাড়ি হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়।

এসআই তানভীর মেহেদি আরও জানান, পুলিশের ওপর হামলার খবর শুনে কেন্দুয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদ, কেন্দুয়া থানার ওসি  কাজী শাহ নেওয়াজসহ এক দল পুলিশের সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা সেখানে গিয়ে হাতকড়া পরা আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, হাতকড়া পরা আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে পুলিশ হাতকড়াটি উদ্ধার করতে পেরেছে।